বিনিয়োগ না ব্যবসা

আব্বা মারা যাওয়ার পর থেকে চিন্তা করছি কি করবো !?! এমনিতে আব্বার দেয়া কিছু টাকা দিয়ে সঞ্চয়পত্র কেনা আছে। সে আয় থেকে প্রতি ৩ মাস অন্তর যা পাই সেটা দিয়ে আমার একা চলে যায়। সবচেয়ে বড় সূবিধা হলো বাসা ভাড়া দেয়া লাগে না। না হলে খবরই ছিলো। কিছু টাকা বিনিয়োগ করেছিলাম শেয়ার মার্কেটে। কিন্তু সেটা খূব একটা আশাব্যঞ্জক মনে হচ্ছে না। কাগজে কলমে প্রায় ৪২ হাজার টাকা কম আছে। শেয়ারগুলো ধরে রেখেছি ভবিষ্যতে ভাল হবে এই আশায়। আর প্রতি বছর কিছু না কিছু ডিভিডেন্ড পাওয়া যাবে, তাতে যদি ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া যায়। কিছু টাকা বিনিয়োগ করেছি আইফার্মার এর ২টি ফার্মে। বছর শেষে লাভ পাব এই আশায়।

ব্যবসা কি করা যায় চিন্তা করছিলাম। পরিচিত যাদেরকে জিজ্ঞাসা করি তারাই বলে ব্যবসা পরিস্থিিতি ভাল না। ২/১ জন তো বলেই বসলো করোনার সময় থেকে পূঁজি ভেঙ্গে খাচ্ছে। এসব শুনে আর সাহসে কুলায় না। 

ইন্টারনেট ভিত্তিক কিছু করা যায় কিনা সেটাও মাথায় রেখেছি। কয়েকদিন ধরে আমাজন এফডিএ প্রোগ্রাম নিয়ে ভিডিও দেখছি। সেখানেও কমপক্ষে ৫০/৬০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং নিয়েও ভাবছি। সমস্যা হলো – বয়স বাড়ার সাথে সাথে কোন কিছুতে ফোকাস করার ক্ষমতাও মনে হয় কমে গেছে। 

ভাবছি আর ভাবছি। কবে যে এই ভাবনা চিন্তা থেকে মুক্তি পাব কে জানে।

ভাল থাকুন নিরন্তর।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।