ব্ল্যাক ফ্রাইডে কেনাকাটা


ব্ল্যাক ফ্রাইডে অথবা ১১.১১ আসলেই মনে হয় পছন্দের কিছু কিনি। বিশেষ করে ক্যামেরা, রেডিও বা ইলেক্ট্রনিক্স কিছু। কিছু ছাড় পাওয়া যায় এ সময়। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে কোন কিছু যে কিনবো সাহসই পাই না। এক তো আব্বার শারীরিক অবস্থা খারাপ, তারপর বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে ডলারের দাম কেবল বাড়ছেই। তারপর ও ব্ল্যাক ফ্রাইডে বা ১১.১১ এলে অনলাইন সাইট গুলোতে ঢু মারি লোভাতুর চোখে। 
গতকাল আমাজনে ঢু মেরেছিলাম। রেডিও’র দাম দেখছিলাম। ইটন এলিট ফিল্ড রেডিও’র দাম দেখি ১৫১.৩২ ডলার। গুগলে খোঁজ করতেই পেলাম বাংলাদেশী টাকায় ১৫,৩৭৫.০০ টাকা, মানে প্রতি ডলার ১০১.৬০ টাকা। এতো গেলো সরাসরি হিসাব। 

আমাজন থেকে আনতে গেলে থার্ড পার্টির মাধ্যমে আনাই। ওরা সাধারণত ইউএস ওয়্যারহাউজে ডেলিভারী নেয়, সেখান থেকে অন্যান্য অর্ডারের সাথে একসাথে করে দেশে পাঠায়। কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স ওরাই করে। সবশেষে আমাকে ডেলিভারী দেয়। এ জন্য ডলারের রেট কিছুটা বেশী রাখে। শপার এর ফেসবুক পেজে পেলাম ৫০-২০০ ডলার পর্যন্ত ডলার রেট ১২৩ টাকা করে। সে হিসেবে ১৫১.৩২ ডলার এর জন্য আমাকে দিতে হবে ১৮৬১৩.০০ টাকা + বিকাশ চার্জ। এখানেই শেষ নয়। আমেরিকা থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত পাঠাতে খরচ করতে প্রতি পাউন্ড ৮০০ টাকা করে। আমাজনে দেয়া আছে এই রেডিও’র ওজন ৫.২৫ পাউন্ড। তবে এটা কেবল রেডিও’র ওজন নাকি পুরো প্যাকেজিং সহ ওজন সেটি বলা নাই। ৫.২৫ পাউন্ডের জন্য আমাকে শিপিং ফি দিতে হবে ৪২০০ টাকা। এরপর কুরিয়ার দিয়ে ডেলিভারী নিলে আরো ২০০ টাকা। মানে আমাকে ১৫১.৩২ ডলার রেডিও’র জন্য গুনতে হবে ২৩+ হাজার টাকা। 

সুতরাং কিনলাম না রেডিও। কি আছে জীবনে !!! 

ভাল থাকুন নিরন্তর।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।