সাম্প্রতিক আলাপ

একজনের সাথে ফোনে আলাপ হচ্ছিলো। নানা বিষয়ে কথা হলো। দুটো বিষয় উল্লেখ করছি।
 
১. ভদ্রলোকের ৩ ছেলে। প্রথমজন প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি’তে পড়ে, দ্বিতীয়জন এ লেভেল পরীক্ষা দিবে আর আর তৃতীয়জন ক্লাস সেভেন এ পড়ে। ৩জনই ইংরেজী মাধ্যমের ছাত্র। কথা প্রসঙ্গে বর্তমান বাজার খরচ ইত্যাদি প্রসঙ্গে ও কথা হচ্ছিলো। জানালেন তার ছেলেদের পিছনে মাসে খরচ ৫৫ হাজার টাকা। বাসা ভাড়া সব সহ ৫০ হাজার টাকার মতো। তাহলে বাজার সদাই? তার বাবা কয়েকটি জমি কিনে রেখেছিলেন পানির দামে। তার একটা বিক্রি হয়েছে কোটি টাকা দামে। আপাতত সে টাকা দিয়েই মূলত চলছেন। প্রশ্ন হলো তার বাবার মতো দূরদর্শী বাবা তো সবার নাই। তাদের কি অবস্থা ?
 
২. কথা প্রসঙ্গে ঘুষ-দূর্নীতির প্রসঙ্গও আসলো। তার মন্তব্য হলো সরকারী কর্মচারীদের বেতন ভাতা যখন বাড়ানো হয়, তখন উচিত ছিলো ঘুষ-দূর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখানো। সেটা না করায় এবং রাজনৈতিক নেতাদের অবাধ দূর্নীতির খবরে সরকারী কর্মচারীরাও, বিশেষ করে নিচের দিকের কর্মচারীরা বেপরোয়া উঠেছে। সাধারণ কোন কাজ করাতে গেলেও টাকা ছাড়া কথা বলতে চায় না। টাকা দিতে না চাইলে নানা ফ্যাঁকড়া বাঁধায়।
 
আমি আপাতত নিরুত্তরই থাকলাম।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।