সাম্প্রতিক পড়া বই

৩টি বই নিয়ে এসেছিলাম একমাসেরও বেশী আগে। মাত্র ১টা শেষ করতে পেরেছি। বাসায় আব্বা অসুস্থ্য, মাঝে ৩/৪ দিন হাসপাতালেও ছিলো। তার চাইতেও বড় সমস্যা – মোবাইলে ফেসবুক খোলার পর আর হুশ থাকে না। ফেসবুক, ইনষ্টাগ্রাম, ফ্লিকার চলতেই থাকে। বই আর পড়া হয় না।

প্রথম বইটি জনাব ফয়েজ আহমদ এর লেখা মধ্যরাতে্র অম্বারোহী। ফয়েজ আহমেদ ছিলেন সাংবাদিক, সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে কিংবা পত্রিকা অফিসে বসে নানা রকম ঘটনা-দূর্ঘটনা নিজের চোখে দেখেছেন। তারই সংকলন এই বই। এর আরো কয়েকটি খন্ড আছে। নিজের জবানীতে লেখা বেশীরভাগ ঘটনা অবশ্য বিভিন্ন রাজনৈতিক ঘটনার সাথে সম্পর্কিত। পড়তে পড়তে আপনার অনেক সময়ই মনে হবে অমুক ঘটনার বিহাইন্ড দ্য সিন পড়ছেন। ইতিহাস, রাজনীতি নিয়ে আগ্রহ থাকলে বইটি পড়তে পারেন। অনেক কিছু জানা হবে।

এর পরের দু’টি বই প্রেমেন্দ্র মিত্রের, ঘনাদা সমগ্র ১ ও ২, সবে মাত্র পড়া শুরু করেছি। আগে ঘনাদা বিষয়ক কোন বই পড়েছিলাম কিনা মনে নেই। অল্প কথায় ঘনাদা হলেন চাঁপাবাজ টাইপের একজন মানুষ, তার সামনে কেউ কোন ঘটনার কথা শুরু করলেই তিনি তার বিচিত্র সব অভিজ্ঞতার ঝঁুলি খুলে বসেন। বিচিত্র সেই সব কাহিনী মিথ্যা হলেও পাঠক’কে আনন্দ দেয় নিঃসন্দেহে।

বই গুলো হয়তো আর এক সপ্তাহ রাখবো। তারপর আবার নতুন বই।

ভাল থাকুন।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।