হোম ষ্টুডিও সেটআপ

আজ ইউটিউবে DSLR Video Shooter এর Entire Youtube Studio Setup ON ONE DESK এপিসোডটি দেখছিলাম। মনে হলো এরকম একটি সেটআপ তো আমিও তৈরী করেছি। যদিও আমার সেটআপ বেশ কিছুটা ভিন্ন। তবে এখানে বলে রাখা ভাল ভিডিও করার জন্য আমি আলাদা করে তেমন একটা খরচ করি নাই। আগে ফটোগ্রাফি করতাম। এখন ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক কারণে বাইরে যাওয়া হয় কম, ফটোগ্রাফি তাই সেরকম ভাবে আগের মতো হচ্ছে না। নানা রকম ভিডিও দেখতে দেখতে তাই মনে হলো একটু এদিক সেদিক করেই একটা হোম ষ্টুডিও করে ফেলা যায়।

হোম ষ্টুডিও করতে গিয়ে প্রথম সমস্যা হলো ঘরের সাইজ। আলাদা কোন ঘর নাই, বেডরুমেই তৈরী করতে হবে এবং সেটি ডেস্কের উপর। সর্ব প্রথম চ্যালেঞ্জ হলো লাইটিং। নানা ভাবে চেষ্টা করার পরও দেখা গেলো লাইট ষ্ট্যান্ড আর আমব্রেলা নিয়ে ব্যাপক পেরেশান হতে হয়। তারপর সেগুলো গুছিয়ে রাখা আরেক সমস্যা। শেষ পর্যন্ত বিডিশপ থেকে কেনা ছোট টেবিলটপ মাইক ষ্ট্যান্ড’কেই লাইট ষ্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহার শুরু করলাম। একটা রাখি ডেস্কটপ পিসির কেসিং এর উপর, অন্যটা বিছানার উপর। কাজ শেষে তার গুটিয়ে খাটের নিচে চালান করে দিলেই হলো।

দ্বিতীয় সমস্যা ক্যামেরা সেট করা। টেবিলের পিছনে খূব বেশী জায়গা নেই, তাই সেখানে ট্রাইপড সেট করা যায় না। একটা ম্যাজিক আর্ম কিনেছিলাম, সেটাতে সেট করলে ভালই ছিলো তবে মাঝে মধ্যে হাইট এডজাষ্ট করা নিয়ে পেরেশান হতে হয়। শেষে দারাজ থেকে একটা মিনি টেবিলটপ ট্রাইপড নিলাম। মোটামুটি কাজ চলে যাবে মনে হয়।

তৃতীয় সমস্যা সাউন্ড। গোটা দূ’য়েক মাইক্রোফোন আর অডিও ইন্টারফেস কেনার পর মনে হলো সাধারণ ল্যাভেলিয়ার মাইক্রোফোন ব্যবহার করাই শ্রেয়। পোষ্ট প্রোডাকশনের সময় অডাসিটি দিয়ে নয়েজ রিডাকশন এবং বুষ্ট করলে মোটামুটি মানের সাউন্ড পাওয়া যায়।

এতো সব কিছুর পর সমস্যা হলো ক্যামেরায় কেমন দেখাচ্ছে সেটি দেখবো কিভাবে !?! আমার ক্যামেরায় তো আর্টিকুলেটেড এলসিডি স্ক্রিণ নাই। সমাধান হলো ক্যামেরা ইউএসবি ক্যাবল দিয়ে পিসির সাথে কানেক্ট করে সফটওয়্যার দিয়ে ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণ করা। আপাত তাই QDSLR Dashboard নামের এক সফটওয়্যার দিয়ে কাজ চালাচ্ছি।

এখন কেবল ঝাঁপিয়ে পরার অপেক্ষা।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।