ছবি তোলার বিড়ম্বনা

ইদানিং কোথাও বেড়াতে গিয়ে ফটো তুলতে গেলে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। দেখা যায় সেখানে সব জোড়ায় জোড়ায় বসে আছে। কেবল বসে গল্প করলে কথা ছিলো। কিন্তু তাদের আচার-আচরণ দেখলে ছবি তোলার বদলে উল্টা দিকে হাটা দিতে হয়। ঢাকা শহর তো বটেই মফস্বলেও একই অবস্থা। মফস্বলে আবার বোরকাওয়ালীর সংখ্যা বেশী। তো সেদিন ইদ্রাকপুর দূর্গ দেখতে গিয়ে একই অবস্থা। যদিও সেরকম ভিড় ছিলো না। আর মাঝে মধ্যে টুকটাক কিছু কাহিনী তো থাকেই।

মুক্তারপুর ব্রীজ থেকে ধলেশ্বরী নদী

ইদ্রাকপুর দূর্গ (১)

বাস কাউন্টারের সুপারভাইজার বলে দিয়েছিলো মুক্তারপুর ব্রিজ পার হয়ে নামতে। সেখান থেকে অটো’তে ইদ্রাকপুর দূর্গে যেতে হবে। নামার সময় ইদ্রাকপুর দূর্গের কথা শুনে বাসের হেলপার / ড্রাইভার কেউ দেখি চিনে না। অটোওয়ালারাও চিনে না। পরে পথচলতি এক অটো থামিয়ে জিজ্ঞেস করতে অটোওয়ালা বলে আপনি মনে হয় কেল্লার কথা বলতেছেন। গুগল সার্চ করে চবি দেখাতেই সে বলে এটাই কেল্লা।

প্যাডেল ষ্টিমার

এইসব কথা বলতে বলতে আমি বাবুবাজার ব্রীজ দিয়ে ওপারে চলে গিয়েছি আর টুকটাক ছবি তুলেছি। আবার এপারে ফিরে এসেছি। বুড়িগঙ্গার তীরে দেখলাম সেই বিখ্যাত ২টি ষ্টিমার এখনও নোঙ্গর করা। ফেরার পথে ঢুকেও পড়লাম বিআইডব্লিউটিএ’র ঘাটে। খোঁজাখুজি করে একজন ষ্টাফ পেলাম। কিন্তু তিনি ছবি তুলতে দিতে বা ষ্টিমারের ভিতরে যেতে দিলেন না। কি আর করা।