কন্টক মুকুট বা কাঁটা মুকুট এর আদি নিবাস মাদাগাস্কার। ১৮২১ সালে Baron Milius (Pierre Bernard Milius) ফ্রান্সে এটি প্রচলন করেন। তাই তার নামানুসারে এই গাছের নাম রাখা হয় Euphorbia milii (বৈজ্ঞানিক নাম)।
বাসায় আমার বেশ কিছু ক্যাকটাস আছে, তার মধ্যে এই গাছটির ২টি ভ্যারাইটি আছে। একটির কান্ড / ডালপালা অপেক্ষাকৃত চিকন এবং ফুল ও অপেক্ষাকৃত ছোট। অন্যটির কান্ড / ডালপালা অপেক্ষাকৃত মোটা এবং ফুলও কিছুটা বড়। মোটা কান্ডের গাছটি অতিরিক্ত বৃষ্টির পানির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং এক সময় মরে যায়। তবে মরার আগে ডাল থেকে একটি চারা করতে পেরেছিলাম। চিকন কান্ডের গাছটি এখনও টিকে আছে। এই গাছটির ডাল থেকে ২টি আলাদা চারা করতে পেরেছি। মজার বিষয় হলো চারা ৪ ইঞ্চি থাকতেই এর ফুল এসেছে।
কিন্তু মোটা কান্ডের নতুন গাছে ফুল খূব কম আসছিলো। অভিজ্ঞ একজন কথা প্রসঙ্গে জানালেন পানি বেশী হলে এবং রোদ কম হলে এই গাছের কেবল পাতা বের হয়। কিন্তু ফুল খূব একটা আসে না। তিনি আমাকে দূপুরের কড়া রোদ পায় এমন জায়গায় গাছ রাখতে বললেন। আগের গাছটি অতিরিক্ত বৃষ্টি পানিতে নষ্ট হওয়ায় আমি নতুন গাছটি এমন জায়গায় রেখেছিলাম যাত বৃষ্টির পানি তেমন একটা পায় না, কিন্তু সকাল বিকালের রোদ পায়। এ জায়গায় দূপুরে আবার রোদ পড়ে না। আমি আবার গাছের জায়গা পরিবর্তন করলাম। এখন ৩ বেলাই রোদ পায় বিশেষ করে দূপুরের কড়া রোদ। তবে জোর বৃষ্টি না হলে ভিজবে না।
কয়েক সপ্তাহ পরেই ফলাফল পেলাম। ৩/৪ জায়গা থেকে ফুল আসলো, প্রতি থোকায় ৬-৮টি করে ফুল। তবে ফুলের সাইজ অন্য গাছের চেয়ে বড় হলেও মূল গাছটির চাইতে ছোট মনে হলো।
অতিরিক্ত পানির কারণে মূল গাছটি নষ্ট হওয়ায় এবার পানির ব্যাপারে একটু কড়াকড়ি করেছিলাম। সপ্তাহে পানি দিতাম একদিন। পরে দেখা গেলো এই গরমে কিছু পাতা শুকিয়ে যাচ্ছে। পানির পরিমান আবার একটু বাড়ালাম, এখন পানি দেই সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন। হলুদ পাতা গুলি এর মধ্যে ঝড়ে গেছে, নতুন পাতা আসছে।
ফুলের সাইজ কি করে বড় করা যায় এখন সে বিষয়ে টিপস দরকার। সাথে দরকার আরো কিছু ভ্যারাইটি।
আজ এ পর্যন্তই। ভাল থাকবেন।
ছবি : নিজের তোলা
Camera : Nikon D7100
Lens : Yongnuo 100mm f/2 + Raynox DCR-250
ফেসবুক মন্তব্য