১৭ তারিখ বাইরে গিয়েছিলাম, আব্বার ঔষধপত্র কিনতে। যথারীতি মাস্ক পরা ছিলো। নিরাপদ দূরত্ব মানা না গেলেও বাসায় ফিরে এসে কাপড় বদলানো, সাবান দিয়ে হাত ধোয়া সবই করেছিলাম। এর আগে-পরে বাসায় কয়েকজন মিস্ত্রি কাজ করেছিলো। আমি তাদের কাছাকাছি যাই নাই, কেবল একজন মিস্ত্রির পাশ দিয়ে বার দুই সিড়ি দিয়ে উঠা-নামা করেছিলাম। তখন মুখে মাস্ক পরা ছিলো না। আসলে বাসার ভিতরে ছিলাম বলে মাস্কের কথা মাথাতেই আসে নাই।
১৯ তারিখ সকাল থেকেই বেশ মাথা ব্যথা। গোসল করে দূপুরের খাওয়ার পর মনে হলো জ্বর আসছে। মেপে দেখি ১০১.৭ ডিগ্রি। কি মনে করে অক্সিমিটার এ অক্সিজেন স্যাচুরেশন মাপতে গিয়েই বাঁধলো বিপত্তি। বেশ কম। সাধারনত ৯৮/৯৯ থাকে। আমি অবশ্য তেমন কোন সমস্যা অনুভব করছিলাম না। বেশ কয়েকবার মাপার পর সর্বোচ্চ দেখালো ৯৪। এই অক্সিমিটার কিনেছিলাম ২৭৫ টাকা দিয়ে, তাই মন একটু খুত খুতও করছিলো রিডিং ঠিক আছে কিনা ভেবে। গলা একটু খুস খুস করছিলো। নাকে হালকা একটু সর্দির আভাসও ছিলো। কিন্তু করোনার আর কোন লক্ষন নাই।
এরপর সেলফ আইসোলেেশন। ইউটিউব ভিডিও’র কথা মনে পড়লো। অনেক করোনা রোগীর ই নাকি তেমন কোন লক্ষন থাকে না। টেষ্ট করতে যাবো কি যাবো না করতে করতে আরো ২দিন গেলো। অবশেষে গতকাল বিকালে টেষ্ট করলাম লুবানা হাসপাতালে। এটা rapid এন্টিজেন টেষ্ট। টেষ্ট ফি ৭০০ টাকা। ২ ঘন্টা পর রেজাল্ট। রেজাল্ট অবশ্য হাতে হাতে আনতে হয়েছে। তারা নাকি সরকারী সার্ভারের সাথে সংযোগ দিতে পারে নাই তখন পর্যন্ত।
টেষ্ট রেজাল্ট : নেগেটিভ
(পরে জাম্পার অক্সিমিটার এর সাথে তুলনা করে দেখলাম ২৭৫ টাকা দামের অক্সিমিটার মাঝে মধ্যে ২-৩% কম দেখায় আবার একই রিডিং ও দেখায়)
ফেসবুক ষ্ট্যাটাস ২৩শে জুলাই ২০২১
ফেসবুক মন্তব্য