করোনায় তো সবকিছুই ওলটপালট করে দিয়েছে। সেটি শুধূ বাংলাদেশে না, সারা পৃথিবীতেই। কাজকর্ম থেকে শুরু করে ব্যবসা বাণিজ্য, এমনকি আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রাও পরিবর্তিত হয়ে গেছে। যাতায়াত ব্যবস্থা যেমন স্থবির হয়েছে, সেই সাথে স্থবির হয়েছে পণ্য পরিবহন। দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহন বাদ দিলে অন্যান্য পণ্য পরিবহন ধীর গতিতে চলছে। আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বিমানে যাত্রী পরিবহন বন্ধ থাকায় ডাক পরিবহন ও ব্যাহত হয়েছে। মেই সাথে দেশে ডাকঘরগুলো শুধূ মাত্র প্রয়োজনীয় কিছু সার্ভিস বজায় রেখেছিলো।
বাংলাদেশে আমরা যারা আলি এক্সপ্রেস থেকে নানা জিনিসপত্র ক্রয় করি তারা এই কয় মাসে ধরতে গেলে কোন প্রোডাক্টই ক্রয় করতে পারি নাই। আবার আগে অর্ডার করা পণ্যও এখন পর্যন্ত অনেকেই পান নাই। আলি এক্সপ্রেসে এখন শুধূমাদ্র ইএমএস / ডিএইচএল এর মতো দামী শিপিং এ পণ্য অর্ডার দেয়া যাচ্ছে। এখন ৫ ডলারের পণ্যের জন্য যদি ৫০ ডলার শিপিং দিতে হয় তাহলে চলবে কেমন করে।
আমি গত ১১আ জানুয়ারী ৩টি প্রোডাক্ট অর্ডার করেছিলাম Ali2BD গ্রুপের মাধ্যমে। প্রথম প্রোডাক্টি চলে এসেছিলো ফেব্রুয়ারী মাসের ১২ তারিখ, ২য় প্রোডাক্টটি আসে ২৬শে ফেব্রুয়ারী। কিন্তু ৩য় প্রোডাক্টি শিপড হয় ৬ই মার্চ তারিখে। আর বাংলাদেশে রিসিভ করে ১২ই জুন তারিখে। মানে অর্ডার করার পর পুরো ৫ মাস সময় লেগেছে।
এখন আবার ধীরে ধীরে সব স্বাভাবিক হচ্ছে। আশা করা যায় পোষ্টাল সার্ভিস মাধ্যমে শিপিং হয়তো সহসাই শুরু হবে।
হ্যাপি শপিং
ফেসবুক মন্তব্য