ছবি তোলা

ক্যামেরা হাতে দেখলে অনেকেই ছবি তোলার অনুরোধ করেন। কেউ আবার ছবি নিতে চান। ছবি চাইলে সাধারণত হোয়াটসএপ নাম্বার নিয়ে সময় সূযোগ মতো পাঠিয়ে দেই। সেদিন ইজতেমার আখেরী মোনাজাতের দিন ফেরার পথে প্রথম তিন বন্ধু / সহকর্মী ছবি তোলার অনুরোধ করলো। ছবি তুললাম। ছবি দেখে তারা খুব খুশী। তারাই জিজ্ঞাসা করলেন ছবি ফেসবুকে দিবো কিনা। আমি বললাম আপনারা বললে দিবো। তারা খূব খুশী হয়ে বললেন দিয়েন ভাই। একজন আবার জিজ্ঞেস করলেন কি নামে দিবো। বললাম।
 
কিছুদূর যেতেই এক রেষ্টুরেন্টের গার্ড ভদ্রলোক বললেন তার ছবি তুলতে। তুললাম। তিনিও ছবি দেখে শিশুর মতো খুশী হয়ে উঠলেন। বললেন ফাইন হইছে। এরপর জিজ্ঞেস করলেন নেটে দিবো কিনা। হ্যাঁ বলতেই হেসে বললেন দিয়েন ভাই।
 
মাঝে মধ্যে মনে হয় মানুষ খূব অল্পতেই খুশী হয়ে যায়।
 
৩ বন্ধু
৩ বন্ধু
গার্ড ভদ্রলোক
গার্ড ভদ্রলোক

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।