ভাবনা ১

অনেকদিন ধরেই চিন্তা করছিলাম কিছু একটা করা দরকার। প্রথমে ভেবেছি ব্যবসা করবো। কিন্তু বন্ধু-বান্ধব বা পরিচিতদের সাথে আলাপ করে খূব একটা ভরসা পেলাম। না। আর চাকরি করার বয়সও নাই, মানসিকতাও নাই। একটা বয়সের পর মনে হয় নতুন কারো সাথে এডজাস্ট করে চলা বেশ কঠিনই। তাই চাকরির চিন্তাও বাদ।

সোশ্যাল মিডিয়াতে আছি বেশ অনেকদিন। এই উপস্থিতি শুধূমা্র বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করার জন্যই মূলত। এর বাইরে মনের আন্দে ছবি, ভিডিও, লেখা ইত্যাদি শেয়ার করাও আছে। ইদানিং মনে হচ্ছে ফেসবুক, ইউটিউবে ভিডিও তৈরী করে রোজগারের চেষ্টাও তো করা যায়। আশেপাশে অনেকেই তো করছে। যদিও মানসম্পন্ন ভিডিও তৈরী করা কোন সহজ কাজ না, তাও আবার একা। কয়েকজনের ইউটিউব ভিডিও দেখলাম যেখানে তারা বলছেন যে তাদের সবারই ৩/৪ জনের টিম আছে। অবশ্য সবাই শুরু করেছিলেন একা। সময়ের স্রোতে এবং প্রয়োজনে তারা এই টিম নিয়ে কাজ করছেন। 

আপাতত তাই ঘরে বসেই বা বাইরে গিয়ে ভিডিও শুট করছি। তারপর খূবই সাধারণ এডিট করে আপলোড করছি। লোকে বলে কচু গাছ কাটতে কাটতেই নাকি ডাকাত হওয়া যায়। তাই আপাতত ভিডিও শুট করে এডিট করায় হাত পাকানোর চেষ্টা করছি। 

দেখা যাক কতদুর কি করতে পারি।

 

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।