লাইনের ঝক্কি অনেক জায়গাতেই। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনলাইন হওয়াতে কি যে সূবিধা হয়েছে সেটা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
আগে আব্বার পেনশন তুলতে যেতাম। কাটায় কাটায় দশটায় উপস্থিত হলেও দেখা যেতো সামনে আরো ৬০/৭০ জন মিনিমাম আছে। আর মাসের ১ তারিখ, সাথে সপ্তাহের প্রথম কিংবা শেষ দিন হলে ১৫০+ ক্রস করতো। অনেক বৃদ্ধ পেনশনার ভোরে ফজরের নামাজ পড়ে মর্নিং ওয়াক করতে করতে চলে আসতেন ব্যাংকে। তবে একটা সূবিধা ছিলো। সকালে প্রথমে যারা আসতেন তারা সবার পেনশন বই সিরিয়ালি কালেক্ট করে রাখতেন। আমি কোন কাজ থাকলে পেনশন বই তাদের কাছে দিয়ে ১০/১১টার দিকে আবার হাজির হতাম। আর কোনদিন ১০টায় গেলে মোটামুটি লাঞ্চের সময় হয়ে যেতো। এখন ইএফটি করায় মাসের শুরুতে পেনশনের টাকা ব্যাংক একাউন্টে চলে আসে।
দ্বিতীয় আরেকটি লাইন ছিলো সঞ্চয়পত্রের। সেখানেও ২/৩ ঘন্টার লাইন। বৃদ্ধ লোকজন যথারীতি নামাজ পড়ে লাইন দিতেন। পোষ্ট অফিস ৯টায় খুলার সময় হাজির হলেও দেখা যেতো ৩০/৪০ জন সামনে আছে। লাইনে ঝামেলা করতো বেশী মহিলারা। নতুন নিয়ম করায় এখন সঞ্চয়পত্রের লাইন ছোট হয়ে গেছে। সামনে নতুন করে করলে মুনাফা ইএফটি’র মাধ্যমে ব্যাংক একাউন্টে চলে আসবে।
সব কিছুই যদি এরকম অনলাইনে (যেখানে যেখানে প্রযোজ্য) হলে আমাদের অনেক সময় বাঁচে, সেই সাথে অনেক অনাকাঙ্খিত ঝাঁমেলাও এড়ানো যায়।
ফেসবুক মন্তব্য