সোশ্যাল মিডিয়ায় মাঝে মধ্যে ভাল কিছু লেখা পাই। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় এসব লেখার কোন লেখক খূঁজে পাওয়া যায় না। সবাই নিচ দিয়ে লিখে দেয় সংগৃহিত। ভাবতেছি এরকম কিছু ভাল লেখা আমি আমি আমার এই ছোট ব্লগে কপি করে রাখবো। অনেক সময়ই এসব লেখা দেখে চিন্তার খোড়াক পাওয়া যায়। আজকের ব্লগ পোষ্টটিও সেরকম একটি সংগৃহিত লেখা।
আপনার কিশোর সন্তানকে পাতিল থেকে আপনার জন্য মাংস বেড়ে আনতে বলেছেন কখনো ? বলে দেখবেন প্লিজ।
যদি সে আপনার জন্য গলা,পা,পাখনা, হাড় হাড্ডি নিয়ে আসে তবে বুঝবেন,আপনার শিক্ষায় গলদ আছে। সে আপনাকে এগুলোই খেতে দেখে এবং আপনাকে এসব খাবারেরই যোগ্য মনে করে। বৃদ্ধবয়সে হঠাৎ করে তাকে পরিবর্তিত দেখতে চাইলেতো হবে না। সে তখন আপনার প্লেটে এসবই তুলে দেবে। আর যদি আপনার সন্তান নিজেকে বঞ্চিত করে মাংসের সেরা টুকরোটি আপনার পাতে তুলে দেয়,তবে অভিনন্দন । আপনি একজন মানুষকে গড়ে তুলছেন। সে ভবিষ্যতে সবার প্রতি মানবিক হবে বলে আশা করা যায়।
তাই পিতামাতার কাছে আকুল অনুরোধ, সন্তানের সামনে কোন দিন নিজেকে বঞ্চিত করবেন না। মুরগীর রান, মাছের বড় টুকরো সবসময় সন্তানকে দিতে হবে, এমন কোন কথা নেই। মাঝে মাঝে তাকে অন্য টুকরা মাংস, মাছ খেতে দিন।
তাকে বুঝতে দিন, আপনাদেরও জগতের সব কিছুর উপর অধিকার আছে। বাসায় বয়োজ্যেষ্ঠ কেউ থাকলে তার প্লেটে ভাল খাবারটি যেন আপনার সন্তান তুলে দেয় সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখুন। তার প্রিয় খাবার রান্না হলে তাকেই বলুন সবার জন্য রেখে খেতে। সবাইকে নিয়ে খেতে। প্রয়োজনের বেশী নিয়ে অন্যের খাওয়া যেন নষ্ট না করে।
(আমার চিন্তা) আমাদের দেশে খাবার টেবিলে আরো একটি বিষয় প্রচলিত। বাড়ীর কর্তাকে এবং ছেলেকে ভাল কিছু দিয়ে এবং নিজে এবং মেয়ের জন্য অপেক্ষাকৃত কম কিছু দিয়ে বড়ই আনন্দ পান বাড়ীর কর্ত্রী। এটাও করা উচিত নয়। সমানাধিকার শিখাতে চাইলে সেটি খাবার টেবিল থেকেই শুরু করতে হবে।
ফেসবুক মন্তব্য