ওজন

বেশ কয়েক বছর আগে একজনের পরামর্শে কিছু টেষ্ট করিয়েছিলাম। আব্বা-আম্মার যেহেতু ডায়বেটিস ছিলো, আমারও হওয়ার সম্ভাবনা প্রচুর। টেষ্টে সুগার লেভেল ‘নকিং এট দ্য ডোর’ ছিলো। তবে TG কোলেষ্টেরণ ছিলো অনেক বেশী। ভাত খাওয়া কমালে নাকি এই কোলেষ্টেরল কমে। এদিকে আবার ওজনও প্রায় ৯০ কেজি। আমার উচ্চতা ৫ ফিট ৬ ইঞ্চি। সে হিসেবে আমার ওজন হওয়া দরকার ৭০ কেজি বা কম। 

শুরু করলাম নিয়মিত হাটা। শুরুতে পার্কে ৮-১০ চক্কর দিলেই হাপিয়ে যেতাম। ধীরে ধীরে সেটা হলো প্রায় ১৫-১৭ চক্কর। ওজন কমে আসলো প্রায় ৮০ কেজি। কিন্তু ৮০ কেজির নিচে দেখি আর নামে না। পরে সকাল বিকাল মিলিয়ে হাটা শুরু করলাম। ওজন আবার কমতে শুরু করলো। শেষ পর্যন্ত মনে হয় ৭৫ কেজি হয়েছিলো। 

বিধি বাম। এরপর শুরু হলো করোনা। হাটা প্রায় বন্ধ। আম্মা মারা গেলেন, আব্বাও বেশ অসুস্থ। হাটা একেবারেই হচ্ছিলো না। একদিন ওজন মেপে দেখি ৮৫+ কেজি। গত (২০২২) ডিসেম্বরে আব্বা মারা গেলেন। জানুয়ারীর শুরু থেকে আবার হাটা শুরু করলাম। প্রথম দিকে মাঠের চারিদিকে ১০ চক্কর দিতে কষ্ট লাগতো। ষ্টেপ এর হিসাবে ৫ হাজার ষ্টেপস, তার মধ্যে ৫০০-১০০০ ষ্টেপস হয়তো ফলস। সারাদিনে ঘরের মধ্যে হাটলে ৫০০-১০০০ ষ্টেপস এমনিতেই হয়ে যায়। 

গতকাল ১১+ হাজার ষ্টেপস হাটলাম। তারমধ্যে ১০০০ ষ্টেপস ফলস ধরলেও মোটামুটি ১০ হাজার ষ্টেপস। কিন্তু ওজন ৮০ কেজির ঘরে ওঠানামা করতেছে। কোন সপ্তাহে ৫০০-৭০০ গ্রাম কমে, পরের সপ্তাহে আবার বাড়ে। সকালে ২টা রুটি, ভাঁজি আর একটা ডিম খাই। সাথে চা। দুপুরে একচামচ ভাত, সবজি, মাছ, ডাল। বিকালে চা এর সাথে হাবিজাবি কিছু। রাতে ২টা রুটি, ভাজি, মুরগীর মাংশ। শুক্রবার সকালে বাসায় খিচুড়ি রান্না হয়। সেটা খাই নাস্তা হিসেবে। ওজন কমছে না, TG কোলেষ্টেরল ও হাই। 

মনে হচ্ছে সকালে হাটা + এক্সারসাইজ নিয়মিত আবার শুরু করতে হবে। 

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।