ঘোরাঘুরি (২)

ঢাকার বাইরে যেতে চাচ্ছি ৩-৭ দিনের জন্য। তবে কোথায় যাব ঠিক করতে পারছি না। সামনে আবার রোজা শুরু। ঢাকাতে ভাল লাগছে না, কেমন যেন গুমোট আবহাওয়া। কোথায় যাব কি করবো এই নিয়েই নেটে সার্চ করছি কয়েকদিন ধরে। একা একা ঘুরবো নাকি কোন গ্রুপের সাথে যাব এটাও এক সমস্যা। একা একা গেলে নিজের মনের আনন্দে ঘোরা যায়, কিন্তু আবার খূব দ্রুতই ঘোরা শেষ হয়ে যায়। আবার একা একা যাওয়ার সমস্যা হলো সাথে ক্যামেরা ইত্যাদি নিয়ে ঘোরা এখন কটুকু সেফ জানি না। খরচও বেশী পড়ে, বিশেষ করে কোথাও থাকার খরচ। আবার গ্রুপে গেলেও অচেনা অনেকের সাথে হয়তো ঠিক বনে না। তবে এটা ঠিক যে গ্রুপে গেলে খরচ বেশ কমে আসে।

কক্সবাজার এর হোটেল ভাড়া নিয়েগুগল সার্চ করলাম। ইউটিউবে ভিডিও দেখলাম। ৫০০-১০০০ টাকায় যে ডাবল রুম আছে, সেগুলো খূব একটা খারাপ মনে হলো না। একরুমে ২টা বেড, টিভি, এটাচ বাথ সবই আছে। কোন কোন রুমে ২ বেডে ৪ জন পর্যন্ত থাকা সম্ভব। সে হিসেবে ১০০০ টাকার রুমে পার হেড পার নাইট খরচ আসে ২৫০ টাকা। মন্দ না। YMCA / YWCA এর বেশ কিছু হোষ্টেল ছিলো আগে। সেগুলোর খোঁজ পেলাম না। 

খাবার এবং যাতায়াত খরচ অনেকটা নিজের উপর। প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০০ টাকা হয়তো যাবে খাবারে, তাও যদি তেহারী-বিরিয়ানি টাইপের রিচ ফুড হয়। ডাল ভাত মাছ / মুরগী দিয়ে খেতে গেলে ২০০ টাকায় হবে বলে মনে হয় না। আরেকটা অপশন হলো জাঙ্কফুড বা ষ্ট্রিট ফুড খাওয়া। পরিচিত একজন অবশ্য বললেন বাংলাদেশের যেখানেই যান প্রতিদিন রুম ভাড়া + খাবার + লোকাল ঘোরাঘুরিতে ১৫০০ টাকা এরাউন্ড লাগবে। সাথে ঢাকা থেকে যাওয়া আর ফেরত আসার ভাড়া। 

ফেসবুকের কয়েকটা ট্রাভেল গ্রুপ ফলো করছি। ঢাকা-বান্দরবন-কক্সবাজার এর ৩ দিনের প্যাকেজ ৪ হাজার টাকা দেখলাম। রোজা সামনে আর গরম বলে হয়তো খূব বেশী কার্যক্রম চোখে পড়লো না। ৩ দিনের প্যাকেজে হোটেল রুম আছে, ৪জনে মিলে থাকতে হবে।

আপাতত এই পর্যন্তই। আবার হয়তো ২/১ দিনের মধ্যে বসবো এই ঘোরাঘুরি নিয়ে। 

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।