বিশনন্দী ফেরী ঘাট

সকাল ৮:১৫ এর দিকে বাসা থেকে বের হয়েছিলাম। গন্তব্য বিশনন্দী ফেরীঘাট। বিআরটিসি’র এসি বাস ছাড়ে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে। বিশ্বরোডে বাস থেকে নেমে রেললাইন ডিঙ্গিয়ে পৌছে গেলাম বিআরটিসি বাস কাউন্টারে। বাস ছাড়লো আধ ঘন্টা বসে থেকে। ঘড়িতে তখন বাজে সকাল ১০টার মতো। অতঃপর নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ফেরিঘাটে পৌছালাম প্রায় সাড়ে ১১টার দিকে। পৌছেই দেখি ফেরীতে গাড়ী উঠছে। আমিও উঠে পড়লাম। ওপারে বাঞ্ছারামপুর। পৌছাতে লাগলো মিনিট ১৫। ফেরী থেকে পুরো পথটাই ভিডিও করেছি। এরপর ক্যামেরা নিয়ে আবোলতাবোল শটস নিলাম। আমার সাথে ছিলো ২৮মিমি লেন্স। মনে মনে নিজেকে গালি দিচ্ছিলাম কোন টেলিফটো লেন্স নেই নাই বলে। বিশাল মেঘনা নদীর বুকে নৌকাগুলিকে মনে হচ্ছিলো বিন্দুর মতো।।
 
ফিরলাম একই পথে। তবে এবার সময় একটু বেশীই লাগলো। গাউসিয়া থেকে কাঞ্চন ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তার কাজ হচ্ছে। গাড়ীর গতি খূব ধীর। কয়েকমাস আগে সিলেট যাওয়ার সময়ও একই অবস্থা দেখেছিলাম। আমার অবশ্য মিনিট ১৫ এর ফেরী ভ্রমণ ভালই লেগেছে। রোজার পরে ভাবতেছি আবার যাবো।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।