শবে বরাত

বেইলী স্কয়ারে ‘৮০ এর দশকে শবেবরাতে দুপুরের পর থেকেই শুরু হতো হালুয়া-রুটি বিলানো। মিনিটে মিনিটে বেল বাজতো বাসার, হয় কেউ দিতে এসেছে না হয় নিতে। আর সন্ধ্যার পর পটকাবাজি। আমরা পোলাপানরা তখন পটকাবাজির ফাঁকে ফাঁকে এক আধটু নামাজ পড়তাম। আর চলতো আড্ডাবাজি। ‘৯০ এর দশকে মোহাম্মদপুর বাবর রোডে এসে দেখা গেল পটকাবাজি আর আতশবাজির ব্যাপকতা। আর এখন উত্তরায় এসে নো পটকাবাজি। আর হালুয়া-রুটি চাইতেও তেমন কেউ আসে না।

ফেসবুক ষ্ট্যাটাস জুলাই ১৭, ২০১১

ছবি : ইন্টারনেট

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।