ভারতে ইলিশ রফতানি করা তো দোষের কিছু ছিলো না, কিন্তু ভারত যখন পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয় এবং ফলশ্রুতিতে দেশে দাম বাড়ে সেটি কিন্তু জনগণ ভালভাবে নিতে পারে না।
আবার দিনের পর দিন যখন বাংলাদেশ তিস্তার পানি পায় না এবং ফেনী নদীর পানি দিয়ে আসা সেটাও কিন্তু পাবলিক সেন্টিমেন্টে লাগে। সেই সাথে নিজেদের প্রয়োজনে পানি আটকে পার্শবর্তী দেশকে শুস্ক বানানো, আবার প্রয়োজনে পানি ছেড়ে দিয়ে বন্যায় সব তলিয়ে দেয়া … কিছুই বলার নাই, দেখা ছাড়া।
কতগুলি বড় বড় অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারী হলো। কোনটির ঠিকমতো সুরাহা হলো না। রিজার্ভ চুরি, বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারী, হলমার্ক কেলেঙ্কারী … খেলাপি ঋণ কিন্তু কমে নাই। সরকারী কেনাকাটায় কি পরিমাণ দূর্নীতি হচ্ছে সেগুলো তো পত্রিকায় এসেছেই।
ছাত্রলীগের নেতৃত্বে পরিবর্তন আনা হলো, যুবলীগের নেতারা কয়েকজন আটক হলো বাহবা পেতে পারেন। কিন্তু এতে যে সত্যটি সামনে আসে তা হলো অন্য দল থেকে আসা লোকজনই কিন্তু ফ্রন্ট লাইনে আর তাদের আশকারা দিচ্ছে মূল আওয়ামী লীগের কিছু নেতা। তারা কিন্তু অন্য দল থেকে আসে নাই। যেমন মোশতাক কিন্তু অন্য দলের ছিলো না, ছিলো নিজেদেরই লোক।
এখন আবার শিবির সন্দেহে একজন’কে পিটিয়ে মারা হলো। বুঝতে পারছেন কি আওয়ামী লীগ এবং তাদের অঙ্গ সংগঠন গুলিতে কারা আছে !?! কিংবা কি করছে। আমি যদি বলি নিজেদের ঘরের লোকজনই খূব সুক্ষভাবে চাল দিচ্ছে তবে হয়তো অনেকেই গোস্বা করবে।
দেখছি, দেখতে থাকবো। নিজের হাত নিজে কামড়াবো …. কিছুই করার নাই।
ফেসবুক মন্তব্য