ইদ্রাকপুর দূর্গ (১)

গতকাল গিয়েছিলাম মুন্সিগঞ্জের ইদ্রাকপুর দূর্গ দেখতে। এর আগে আসলে আমি ভুল জায়গায় মুন্সিগঞ্জ যাওয়ার বাস খূঁজে এসেছিলাম। ইদ্রাকপুর দূর্গে যেতে হলে প্রথমে যেতে হবে মুক্তারপুর। মুক্তারপুরের বাস ছাড়ে বায়তুল মোকাররম / ঢাকা ষ্টেডিয়ামের কাছ থেকে। আমি গিয়েছিলাম বোরাক এসি বাসে। ভাড়া ১২০ টাকা।
 
বাস কাউন্টারের সুপারভাইজার বলে দিয়েছিলো মুক্তারপুর ব্রিজ পার হয়ে নামতে। সেখান থেকে অটো’তে ইদ্রাকপুর দূর্গে যেতে হবে। নামার সময় ইদ্রাকপুর দূর্গের কথা শুনে বাসের হেলপার / ড্রাইভার কেউ দেখি চিনে না। অটোওয়ালারাও চিনে না। পরে পথচলতি এক অটো থামিয়ে জিজ্ঞেস করতে অটোওয়ালা বলে আপনি মনে হয় কেল্লার কথা বলতেছেন। গুগল সার্চ করে চবি দেখাতেই সে বলে এটাই কেল্লা।
 
বেশ কিছুক্ষণ ইদ্রাকপুর কেল্লা / দূর্গে কাটিয়ে ঢাকার পথে আবার অটো নিলাম। মুক্তারপুর নেমে ব্রিজ দিয়ে হাটা দিলাম। ছবি তুলতে তুলতে অপর পারে পৌছে নন-এসি বাসে উঠলাম। এবার ভাড়া নিল ১০০ টাকা। এসি বাসে যেতে সময় লেগেছিলো এক ঘন্টার কিছু বেশী। রাস্তা মোটামুটি ফাঁকাই ছিলো। কিন্তু ফেরার পথে জ্যামের কারণে পাক্কা ২ ঘন্টা লাগলো গুলিস্তান পৌছাতে।
 
ছবি : মুক্তারপুর ব্রিজ থেকে ধলেশ্বরী নদী
মুক্তারপুর ব্রীজ থেকে ধলেশ্বরী নদী
মুক্তারপুর ব্রীজ থেকে ধলেশ্বরী নদী

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।