চেনা-অচেনা এবং …

আজকাল ছাত্রলীগ আর শিবির চেনা বড় কঠিন। আগে চাপ দাড়ি (সাথে অন্যান্য কর্মকান্ড) দেখে হয়তো কিছুটা আন্দাজ করা যেতো। এখন দাড়ি রাখা ফ্যাশন। অনেক শিবির আবার ক্লিন শেভড। এখন পুরাই তালগোল পাকিয়ে যায়। 
 
কিছুক্ষণ আগে হাটতে বেড়িয়েছিলাম। জমজম টাওয়ারের কাছে দেখলাম চেয়ার নিয়ে বসে আছে, দাঁড়িয়ে আছে অনেক তরুণ। আরেকটু সামনে এগোতেই দেখি লোকজন দৌড়াদৌড়ি শুরু করেছে। দূর থেকে দেখলাম মিছিল আসতেছে। জয় বাংলা শ্লোগান। আমি না থেমে সোজা সামনের দিকেই হাটতে থাকলাম। মিছিল কাছে আসতেই কিছুক্ষণ ভিডিও করলাম। একজন কাছে এসে ভিডিও করতে না করলো। আমিও রেকর্ডিং অফ করে সামনে আগালাম।
 
এরপর থেকে বিভিন্ন গলির মুখে দেখলাম দাড়িওয়ালা তরুন উকি দিচ্ছে। সবাই বলাবলি করছে মিছিল কতদূর গেলো। 
 
এরপরই বোনের ফোন। ১১ নাম্বার সেক্টরে নাকি গন্ডগোল। এদিকে আবারও বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বাধ্য হয়েই রিকশা নিয়েই বাসায় আসতে হলো।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।