নিরামিষ আহার

গতকাল বের হয়েছিলাম দূর্গাপূজার ছবি তুলতে। শাঁখারী বাজার আর তাঁতী বাজার ঘুরে কিছু ছবি তুলেছি। দূপুরের খাবার কোথায় খাবো চিন্তা করছিলাম। পুরান ঢাকায় বিরিয়ানীর দোকানের অভাব নাই। হঠাৎ মনে পড়লো তাঁতী বাজারে্ তো বেশ কয়েকটা হিন্দু রেষ্টুরেন্ট আছে যারা কেবল নিরামিষ খাবার পরিবেশন করে। একজনকে জিজ্ঞাসা করতেই বললো মাঝামাঝি গেলেই পেয়ে যাবেন, ২/৩টা আছে।
 
আমি দুই পাশে দেখতে দেখতে যাচ্ছি। কেবল সোনা-রূপার দোকান। মাঝে মাঝে উচু প্ল্যাটফর্ম করে দূর্গা প্রতিমা স্থাপন করা হয়েছে। তবে এবার প্রতিমার সংখ্যা কম। হঠাৎ করেই চোখে পড়লো সাইনবোর্ড অনুরাধা মহাপ্রসাদ ভোজনালয়। চট করে ঢুকে পড়লাম।
 
খূবই ছোট জায়গা। ৩/৪টা ছোট ছোট রুম নিয়েই রেষ্টুরেন্ট। পুরাতন ইটের দালান বলেই দেয়াল ভেঙ্গে বড় করা সম্ভব হয় নাই। এক কোনায় বসে গেলাম। ওয়েটার এসে জানতে চাইলো কি খাবো অন্ন না সবজি পোলাও। অর্ডার দিলাম সবজি পোলাও। সাথে কিসের যেন ভাজি দিলো ২টা। একটা মনে হয় চালকুমড়ার, আরেকটা বুঝি নাই। সবজি পোলাও এর মধ্যে ছোট ছোট বড়ার মতো কি যেন দেয়া। খেতে গেলে মনে হয় মাংস। কিন্তু এখানে তো মাছ / মাংসের কোন কারবার থাকার কথা না। ওয়েটারকে জিজ্ঞাসা করতেই জানালো সয়াবিন (সয়াবিন চাঙ্ক)। পোলাও বেশ ভালই লাগলো খেতে। পরিমাণ বেশ ভালই, পেট ভরে খাওয়া যায়। টেবিলের উপর ট্রে’তে ছোট ছোট বাটিতে বিভিন্ন তরকারি দেয়া আছে। এক বা একাধিক বাটি নিতে পারেন। আমি নিলাম পনির দিয়ে রান্না করা তরকারী।
 
খাওয়া শেষে বিল দিলাম ১৪০ টাকা। বের হওয়ার আগে মনে হলো ছবি তো তুলি নাই। মোবাইল দিয়ে তরকারীর ছবি নিলাম। বাইরে বের হয়ে এসে আরেকটা।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।