পাবলিক টয়লেট

গতকাল হাটতে বের হয়ে রাজলক্ষ্মী’তে একটা জুসবার দেখে মনে হলো পেঁপের জুস কিনি। কিনে পান করতে করতে হাটা দিলাম। জসিমউদ্দিন এভিনিউ এর দিকে আসতে আসতে হঠাৎ করেই তলপেটে চাপ অনুভব করলাম ব্যাপক। মোরের কমার্শিয়াল বিল্ডিং এর সিকিউরিটি গার্ড’কে জিজ্ঞাসা করলাম ভিতরে কোন পাবলিক টয়লেট আছে কিনা। সে বললো দোতালায় যান। দোতালায় গিয়ে একজনকে জিজ্ঞেস করতেই দেখিয়ে দিলো। কিন্তু দরজা দেখি বন্ধ। হাতল ধরে টানলেও খুললো না। পিছন থেকে আরেক ভদ্রলোক বললেন কার্ড ছাড়া খুলবে না। কি আর করা। নিচে নেমে গার্ডকে বললাম। গার্ড বলে নামাজের সময় কেউ না কেউ তো যাবেই, তখন বললেই হতো।

আমি আর কথা না বাড়িয়ে সামনে হাটা দিলাম। বাটা’র দোকানের পাশের বিল্ডিং এর গেটে দেখি কয়েকজন গার্ড দাড়িয়ে। একই প্রশ্ন করতেই জানালেন সেরকম তো কিছু নাই, সব অফিস। জরুরী প্রয়োজন হলে সামনের ঐ বাথরুম ব্যবহার করতে পারেন, আমরা এটাই ব্যবহার করি। আমি সোজা গিয়ে ঢুকলাম। কাজ শেষ করে বের হয়ে গার্ডদের বড় করে একটা ধন্যবাদ দিলাম।

রাস্তাঘাটে পাবলিক’কে মুত্র বিসর্জন করতে দেখলে মনে মনে কত গালি দিয়েছি – আজ মনে মনেই সবার কাছে একযোগে মাফ চেয়ে নিলাম।
বাই দ্য ওয়ে, বাসায় আসতে আসতে মনে হলো সেই পেঁপের জুসই মনে হয় নষ্টের গোড়া ছিলো।

ফটো ক্রেডিট : Freepik AI Image Generator 

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।