পুরান ঢাকায় …

এক বন্ধু ছিলো নবাব বাড়ীর। ওর বাসায় যাতায়াত সূত্রে পুরান ঢাকায় যাওয়া হয় প্রথমবার। এরপর আরেক বন্ধু পেলাম বেচারাম দেউড়ির। পড়লাম জগন্নাথ কলেজে। আরো পরে এক বন্ধুর ব্যবসায় কামলা দিতে গেলাম চকবাজার। তারপরও পুরান ঢাকা এখনও চিনি না ঠিকমতো।
 
২ দিন আগে পুরান ঢাকায় গেলাম। মেট্রোরেলে সচিবালয় ষ্টেশনে নেমে হাটতে হাটতে গুলিস্তান। সেখান থেকে ঘোড়ার গাড়ীতে চড়ে সদরঘাট এর দিকে যাত্রা। জীবনে এই প্রথম ঘোড়ার গাড়ীতে চড়লাম, ভাবা যায় !?!
 
তারপর তো ইতিহাস। আমি নেমে পড়েছিলাম জনসন রোডের কাছে। পাশের এক গলি দিয়ে ঢুকে এক বাজারের মধ্যে দিয়ে ঘুরে কোর্ট-কাচারীর পিছন দিয়ে শাঁখারী বাজার হয়ে বের হলাম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে। এরপর দেখি সব কিছু অচেনা লাগতেছে। সামনে বাহাদুর শাহ পার্ক দেখলাম। একটু হেটে বাংলা বাজারের দিকে যেতেই মাথা নষ্ট। কোন রাস্তা সদরঘাটের দিকে গেছে আর কোনটা পাটুয়াটুলি বুঝতে পারছিলাম না। সামনে সুউচ্চ এক অট্টালিকা, এটাই নাকি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যলয়।
 

 
আমি পাটুয়াটুলির দিকে হাটতে থাকলাম। ওয়াইজ ঘাটের মোর এসে চিন্তা করছিলাম বাবু বাজার পুলিশ ফাঁড়ি পাশ দিয়ে তো শাঁখারী বাজার ঢোকা যায়। আরেকটু সামনে গিয়ে বাবু বাজার পুলিশ ফাঁড়ি পাওয়া গেলো। এই একটা বিল্ডিং ই মনে হয় পুরোপুরি চিনতে পারলাম।

ছবি : সিজের তোলা

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।