বছরের প্রথম ভ্রমণ

বছরের শুরুতেই ভ্রমণে গেলাম বালিপাড়া। এটি পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানি উপজেলার একটি গ্রাম। এটি আমার ভাগ্নের শ্বশুরের দেশের বাড়ী। ভাগ্নে আর তার বউ ছুটিতে দেশে এসেছে। তাদের সাথে আমার বোন-দুলাভাই আর আমিও নিমন্ত্রণ পেয়েছিলাম। দক্ষিণবঙ্গে এটি আমার প্রথম ভ্রমণ। 

ঢাকা থেকে আমরা যাত্রা শুরু করেছিলাম প্রায় পৌণে নয়টার দিকে। মাওয়া এক্সপ্রেস ওয়ে দিয়ে পদ্মা সেতু পার হয়ে প্রায় দশটার দিকে আমরা পৌছালাম সাম্পান হাইওয়ে ইন এ। এটি গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানিতে অবস্থিত। মহাসড়ক ছিলো খূবই চমৎকার। গোপালগঞ্জের ট্রাফিক পুলিশ দেখলাম খূবই তৎপর। তারা ম্পিডগান নিয়ে সড়কে গাড়ীর গতি নিয়মিতই পর্যবেক্ষণ করে। ফলে গাড়ীগুলি স্পিড লিমিট মেনেই গাড়ী চালায়। পথে দেখলাম কিছু গাড়ী আর মোটর সাইকেল থামিয়ে তাদের মামলা দেয়া হচ্ছে। ফেরার পথেও একই দৃশ্য দেখেছি। তবে বাসগুলো মাঝে মধ্যেই জোরে চলে কিন্তু জায়গা মতো এসে স্পিড কমিয়ে ফেলে। খূব সমবভবত আগের কোন বাস থেকে তারা খবর পায় যে কোথায় পুলিশ স্পিড গান নিয়ে অপেক্ষা করছে। 

সকালের নাস্তা খেলাম খিচুরি আর গরুর মাংস, সাথে চা। পৌণে দশটায় রওনা দিয়ে আমরা বালিপাড়া পৌছালাম প্রায় একটার দিকে। টুঙ্গিপাড়ার কিছু অংশে রাস্তার কাজ চলছে। এ অংশটুকু ছাড়া পুরো মহাসড়ক খূবই চমৎকার। উপজেলার রাস্তাও বেশ ভাল, যদিও সরু। তবে বালিপাড়া বাজার থেকে বাকি রাস্তা ব্রিক সোলিং এবং এই রাস্তাটি নসিমন / করিমন দিয়ে ইট পরিবহনের কারণে নষ্ট হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়।। রাস্তার দুই সাইড বসে গেছে, মাঝখানে উচু হয়ে আছে। 

আমরা বেশীর ভাগ সময় বাড়ীতেই ছিলাম। কেবল একবার পানঘুচি নদীতে নৌকা ভ্রমণে গিয়েছিলাম। কিন্তু ভাল নৌকা না পাওয়ায় আমরা কেবল এপার-ওপার করেছি বড় নৌকা দিয়ে। এই নৌকাটি পারাপারের জন্য ছিলো, তাই মাঝি আমাদের নিয়ে ঘুরতে রাজি হয় নাই। আরেকটি নৌকা পাওয়া গিয়েছিলো ওপারে, কিন্তু সেটি অপেক্ষাকৃত ছোট ছিলো আরেকটার সাথে দামে বনে নাই। 

আজ আপাতত এই পর্যন্তই। আগামীতে আরও কিছু আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
ভাল থাকুন নিরন্তর।

সাম্পান হাইওয়ে ইন
সাম্পান হাইওয়ে ইন

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।