লাইফ হ্যাক

অনেক আগে ফেসবুকেই (খূব সম্ভবত) একটা লাইফ হ্যাক ভিডিও দেখেছিলাম। কোন সারফেসে (ভিডিও’তে কোন কাঠের আসবাব ছিলো) কোন স্ক্রু এর ছিদ্রের প্যাঁচ যদি কোন কারণে নষ্ট হয়ে যায় মানে স্ক্রু না আটকায় তার জন্য একটা টোটকা পদ্ধতি ছিলো। ছিদ্রের মধ্যে তুলা দিয়ে তারপর সুপার গ্লু কয়েক ফোটা দিলে তুলা জমে শক্ত হয়ে যায়। তারপর ঐ অংশে ড্রিল করে বা স্ক্রু-ড্রাইভার দিয়ে স্ক্রু আটকানো যায়।
 
আজ ওয়ালে একটা পেগবোর্ড লাগানোর জন্য নিজেই ম্যানুয়াল ড্রিল দিয়ে ছিদ্র করেছিলাম। পরে দেখা গেলো দুটো ছিদ্র একটু সরে যাওয়ায় বোর্ড বসানো যাচ্ছে না। পরে এই বুদ্ধি কাজে লাগালাম যদিও ওয়ালে তুলা দিয়ে সুপার গ্লু দেয়া একটু কঠিন। তারপরও কোনভাবে সেটা করা গেলো। কয়েক মিনিট পরে দেখা গেলো ভালই শক্ত হয়ে গেছে। আবার নতুন করে ড্রিল করে ছিদ্রও করা গেলো।
 
বাই দ্য ওয়ে, তুলায় সুপার গ্লু দিলে প্রচুর তাপ বের হয়। তাই চাপ দিয়ে ছিদ্র বন্ধ করার জন্য ষ্টেইনলেস ষ্টিলের কোন কিছু ব্যবহার করা উচিত।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।