আজ (সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৩) সকালে বের হয়েছিলাম কাজে। আজ যে জন্মাষ্টমির সরকারী ছুটি জানা ছিলো না। ফেরার পথে ভাবলাম আজ বাইরে নাশতা করি। সেদিন বাসায় ফেরার পথে উত্তরার ১৪ নাম্বার সেক্টরের ১৭ নাম্বার রোডের শেষ মাথায় (পশ্চিম দিকে) এক বাড়ীর গ্যারেজে একটা ছোট রেস্তোরা দেখেছিলাম। সূযোগ পেয়ে সেখানেই ঢুকে পড়লাম।
একেবারে ধনী ছাড়া সব ধরণের লোক আছে। মানে শার্ট-প্যান্ট পরা এবং লুঙ্গী পরা, বাকিটা অনুমান করলাম চেহারা দেখে। বেশ ভীড়। সিট কোনটাই খালি নাই মনে হলো প্রথমে। ভিতরে দেখলাম ২টা চেয়ার খালি। ভিতরে লোকজন যেমন বসে খাচ্ছে, কেউ আবার দাঁড়িয়ে থেকে পার্সেলের অর্ডার দিচ্ছে।
বসার পরও দেখি কেউ অর্ডার নিতে আসে না, এতোই ব্যস্ত। ভিতরে ২ কিশোর প্লেট / গ্লাস ধোয়ায় ব্যস্ত। ম্যানেজার বসে আছে ক্যাশে আর একজন চরকীর মতো ঘুরছে আর টেবিলে টেবিলে খাবার সাপ্লাই দিচ্ছে। ঢোকার সময় দেখেছিলাম একজন রুটি / পরোটা তৈরী করেছে এবং ভাজছে, সেই সাথে মাঝে মধ্যে ডিমও ভেজে দিচ্ছিলো।
অবশেষে অর্ডার দেয়ার সূযোগ হলো। ২ পরোটা, ডাল ভাজি আর ডিম ভাজি। একটু দেরী হবে জানিয়ে সেই লোক আবার দৌড়। তবে অর্ডার নেয়ার মিনিট দশেকের মধ্যেই সব চলে আসলো। আমি ঝটপট খেতে শুরু করলাম।
খাওয়ার পরে ক্যাশে যেয়ে দাঁড়াতেই জানান দিলো আমার ৫০ টাকা বিল হয়েছে। ওভার হাইপড রেস্তোরার চাইতে ভাল এবং সাশ্রয়ী।
ফেসবুক মন্তব্য