১. ইদানিং লিখতে বসলে তেমন কিছু লিখতে পারছি না। শুধূ লেখার কথা বললে ভুল হবে। লেখা, বই পড়া, ভিডিও দেখা এমনি নিয়মিত ছবি তোলা কিংবা হাটতে বের হওয়া – কোনটাই হচ্ছে না। একধরণের আলসেমি যেন ভর করেছে শরীরে। যাই করতে চাই, মনের এক কোনে কে যেন টুক করে বলে যায় আর একটু পর। সেই আরেকটু পর আর কখনই শেষ হতে চায় না।
২. গতকাল প্রথম আলো পত্রিকার ‘ছুটির দিনে’ অংশে সাপ্তাহিক রাশিফল পড়ছিলাম। কাওসার আহমেদ চৌধূরী লিখেন ভাল, মানে তার লেখার ষ্টাইল ভাল লাগে বেশ। তবে এই কলাম যতটুকু না নিজের ভাগ্য জানার জন্য তার চাইতে বেশী রসাদ্বনের জন্য। তার ভাগ্য গণনায় একটা ব্যাপার বেশ ফলে আমার জন্য। যেদিন লেখা থাকে ‘অর্থ ভাগ্য সুপ্রসন্ন’, সেদিন সেটা আসলেই ফলে, তবে ঋণাত্বক অর্থে। মানে সোজাসুজি বললে কারণে এবং অকারণে সেদিন খরচ একটু বেশীই হয়ে যায়।
গতকালের লেখায় তিনি বাংলা বানান নিয়ে কিছু কথা লিখেছিলেন (মেষ রাশি)। সেখানে দু’টি শব্দ ছিলো – অভিজ্ঞান এবং ক্রন্দসী। প্রথম শোনায় যা মনে আসে এই দু’টি শব্দের অর্থ হিসেবে, বাস্তবে তার ধারে কাছেও নেই। অভিজ্ঞান শুনলে মনে হয় জ্ঞান সংক্রান্ত কোন বিষয় হয়তো। আসলে অভিজ্ঞান অর্থ প্রতিনিধি, প্রতীক। আর ক্রন্দসী শুনলে মনে হতে পারে কান্না সংক্রান্ত কোন কিছু। ক্রন্দসী মানে স্বর্গ, মর্ত্য ও পাতাল। এরকম হয়তো আরো হাজার হাজার বাংলা শব্দ আছে, যার খবর হয়তো আমরা রাখি না। অর্থ তো আরো পরের বিষয়।
যখন নিয়মিত শর্টওয়েভ রেডিও শুনতাম, সেসময় ভয়েস অফ আমেরিকায় স্পেশাল ইংলিশে words and their stories নামে একটি রেডিও প্রোগ্রাম ছিলো। স্পেশাল ইংলিশ মানে সাধারণ সহজবোধ্য লিমিটেড কিছু শব্দ ভান্ডার, যা পড়া হতো ধীর গতিতে। এই অনুষ্ঠানে কোন একটি ইংরেজী শব্দ নিয়ে গল্প থাকতো। গল্পে দিয়ে বলা হতো শব্দটি কিভাবে ইংরেজী ভাষায় এলো। খূবই চমৎকার পরিবেশনা। কোন এক অক্সফোর্ড ডিকশিনারিতেও দেখেছিলাম শব্দের উৎস লেখা আছে। সেখানে বাংলা ভাষা ইংরেজী ভাষায় স্থান পাওয়া বেশ কিছু শব্দ ছিলো।
৩. ফেসবুকে মাঝে মধ্যেই অসাধারণ সব লেখা পাই। যেমন গতকাল থেকে ডাঃ রাজিব হোসাইন সরকারের একটি লেখা টাইম লাইনে ঘুরছিলো। মূল বিষয় এন্টিবায়োটিকের অপপ্রয়োগ। আমরা হয়তো এবিষয়ে এক আধটু জানি। আমি নিজে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এন্টিবায়োটিক খাই না এবং সবসময় এন্টিবায়োটিকের ফুল কোর্স কমপ্লিট করি। অপব্যবহারে রোগ-জীবাণু যে রেজিট্যান্ট হয়, সেটাও জানতাম। কিন্তু ডাঃ সরকার যা বললেন সেটা কল্পনাতেও আসে নাই। তার ভাষ্যে দেখা যাচ্ছে কারো শরীরে এন্টিবায়োটিক রেজিষ্ট্যান্ট রোগ-জীবানু খূব সহজেই অন্যের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। এখন সেই ব্যক্তি এন্টিবায়োটিক অপব্যবহার না করে থাকলেও কোন লাভ নেই। কি ভয়ঙ্কর অবস্থা একবার কল্পনা করে দেখুন। এন্টিবায়োটিকের অপব্যবহার করে আপনি শুধূ নিজের না, আপনার আশে-পাশের সবারই ক্ষতি করছেন। হয়তো পূরো মানবজাতিরই।
words and their stories
ডাঃ রাজিব হোসাইন এর ফেসবুক ষ্ট্যাটাস
ফেসবুক মন্তব্য