টি রিসোর্ট মিউজিয়াম

বাংলাদেশ চা বোর্ড এর টি রিসোর্ট এন্ড মিউজিয়ামে ছোট একটি ২ রুমের জাদুঘর আছে। গেট দিয়ে ঢুকলেই হাতের বায়ে দেখা যাবে জাদুঘরটি। সামনের দিকে অফিস এবং চা বিক্রয় কেন্দ্র। পিছনের দিকে জাদুঘর। প্রথম রুমে একটি টেবিল এবং চেয়ার, যা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান চা বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকাকালিন ব্যবহার করতেন। ওয়ালে সে সময়ের নানা সাদা-কালো ছবি।
 
 
পাশের রুমে ব্রিটিশ আমল থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময়ের সংগ্রহ। যেমন – চা বাগানে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, চা বাগানে প্রচলিত বিভিন্ন মূদ্রা ইত্যাদি। তবে আমার চোখ গেলো একটি পুরাতন রেডিও’র উপর। তোশিবা কোম্পানির। বিবরণে লেখা আছে চা বাগানের ব্যবস্থাপকের বাংলোয় ব্যবহৃত হতো। ২০০৯ সালে সংগ্রহ করা হয়েছে কোদালা চা বাগানের জন বিশ্বাস নামের জনৈক শ্রমিকের কাছে থেকে।
 
রেডিও দেখে মনে করেছিলাম এটি ব্রিটিশ আমলের কোন ভাল্ভ রেডিও সেট। বাসায় এসে নেটে খোঁজ নিয়ে জানা গেলো এটি ট্রানজিষ্টর রেডিও, তৈরীর সময় ১৯৭৫ সাল। যদিও ১৯৭৫ সালের পরে একটি প্রশ্নবোধক চিহ্ন দেয়া আছে।
 
মডেল নাম্বার : Toshiba 8TH-496R 

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।