থিংক বাংলা

ইউটিউবে নিত্য নতুন চ্যানেল খোলা হচ্ছে, কোনটা আবার হারিয়েও যাচ্ছে। আগে ফটোগ্রাফির উপর যে সব চ্যানেল দেখতাম তার কোন কোনটা এখন আর দেখতে পাই না। হয়তো সেই মানুষটি আর নেই বা বয়স হওয়ার কারণে এখন আর ভিডিও তৈরী করেন না। ইউটিউবে বাংলা চ্যানেল বা কনটেন্ট ইংরেজীর তুলনায় খূবই কম। তারপরও মাঝে মাঝে কোন কোন চ্যানেল দেখলে খূবই ভাল লাগে।

ইউটিউবে ইদানিং বাংলা চ্যানেল বাড়ছে প্রতিদিনই। প্রধানতম কারণ হয়তো এড রেভেনিউ। ভিডিও তৈরী করে যদি কিছু উপার্জন করা যায় তো মন্দ কি ? তবে সবাই যে খূব কোয়ালিটি ভিডিও তৈরী করছেন তা না। তবে কালের বিবর্তনে ধীরে ধীরে অনেকেউ উন্নতি করছেন। আমি কোন পিসি পার্টস, ক্যামেরা এবং একসেসরিজ অথবা কোন ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেট কিনতে চাইলে ইউটিউব রিভিউ এর উপর অনেকখানি নির্ভরশীল। বিদেশী টেক চ্যানেলের সাথে ইদানিং বেশ কিছু বাংলা টেক চ্যানেলও যোগ হয়েছে। এর বাইরে আছে বেশ কিছু ফুড রিভিউ চ্যানেল রান্নার চ্যানেল এবং ২/৩টি বারোভাজা টাইপ চ্যানেল। মাঝে মধ্যে ছায়াছবি / নাটক বা গানও দেখে থাকি। তবে সবচেয়ে অপছন্দ করি মনে হয় ভাদাইম্মা টাইপ চ্যানেলগুলো।

ফেসবুকেই মনে হয় কারো পোষ্টে প্রথম জেনেছিলাম থিঙ্ক বাংলার কথা। এদের ফেসবুক পেজে লেখা আছে – “থিংক বাংলা- লন্ডনভিত্তিক নিবন্ধিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। আমরা বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, ইতিহাস, দর্শন, শিল্প-সংস্কৃতির হাজারো বিষয় নিয়ে বানাচ্ছি মজার সব শিক্ষামূলক তথ্যচিত্র। থিংক বাংলা সাথে যুক্ত আছেন একদল মেধাবী বিশেষজ্ঞ, তথ্যচিত্র নির্মাতা এবং নিজ নিজ ক্ষেত্রে দক্ষ মানুষেরা। বিশ্বাসযোগ্যতা এবং মানের প্রশ্নে থিংক কখনো আপোস করে না। থিংক সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন থিংক-এর ওয়েবসাইট এবং ইউটিউব চ্যানেলে।

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, ইতিহাস, দর্শন, শিল্প-সংস্কৃতির নানা বিষয় বাংলায় অত্যন্ত সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করছেন দর্শকের সামনে। ইংরেজীতে এরকম কন্টেন্ট প্রচুর আছে, তবে বাংলায় প্রায় নেই বললেই চলে। সূর্য কেন নিভে না, পিরামিডের রহস্য, হিমালয় তৈরী হলো কি করে, মানুষের বিবর্তন সহ আরো অনেক ভিডিও পাবেন এই চ্যানেলে। প্রতি শুক্রবার একটি করে নতুন ভিডিও যোগ হচ্ছে চ্যানেলে।

পরিবার নিয়ে এই চ্যানেলটি উপভোগ করতে পারেন স্বছন্দে। চ্যানেলটি ভিজিট করতে এবং সাবস্ক্রাইব করতে এই লিংকে ক্লিক করুন।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।