বিভিন্ন সাইজের কার্ড

ছোট বেলায় যখন কার্ড বানাতাম তখন সাইজের কোন ঠিক ঠিকানা ছিলো না। কাগজ মোটামুটি কেটেকুটে যতটা সম্ভব ছোট করে (যাতে বেশী সংখ্যক কার্ড বানানো যায়) ভাঁজ করে নিতাম। কাগজ মূলত ছিলো আর্ট পেপার অথবা পূরানো কোন বিয়ের কার্ড অথবা অন্য কোন কার্ড থেকে কেটে নেয়া অংশ। এসব না পাওয়া গেলে খাতার সাধারন কাগজই সই। উপরে হয়তো পেন্সিল, রং পেন্সিল, মোম কালার বা ওয়াটার কালার দিয়ে আঁকা হতো কিছু। কার্ড যেহেতু ঈদেই দেয়া হতো তাই বিষয় হতো মসজিদ (গম্বুজ আর মিনার) সেই সাথে বাঁকা চাঁদ। জন্মদিনের কার্ড হলে ফুল-পাখি জাতীয় কিছু। আঁকায় খূব একটা ভাল ছিলাম না বলে বিষয় এগুলিই থাকতো।

বুড়ো বয়সে নতুন করে কার্ড বানানো অনুশীলন করছি, তখন নেট ঘেটে বের করতে হচ্ছে কার্ডের প্রমিত সাইজ আসলে কি হওয়া দরকার। আমি নিজে যদিও দু’টো মাত্র সাইজ ব্যবহার করি এ২ (A2) আর এ৯ (A9), সাইজ যথাক্রমে ৪ ১/৪ ইঞ্চি X ৫ ১/২ ইঞ্চি এবং ৫ ১/২ ইঞ্চি X ৮ ১/২ ইঞ্চি। এই দু’টো সাইজের কার্ড কাটা এবং ভাঁজ করা সহজ এবং কাগজ নষ্ট হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই যদি আপনি লেটার সাইজ (৮ ১/২ ইঞ্চি X ১১ ইঞ্চি) কাগজ ব্যবহার করেন। বাংলাদেশে বহুল ব্যবহৃত এ৪ (A4) সাইজ কাগজ ব্যবহার করেন তবে সামান্য কাগজ নষ্ট হবে আর এ২ (A2) সাইজের কার্ড কূব সামান্য পরিমাণ ছোট হবে, যা সাধারণত চোখে ধরা পড়বে না।

A2 / A9 সহ আরো যেসব সাইজ প্রচলিত আছে
Mini Cards – 2 x 3 1/2.
A1 Blank Cards – 3 1/2 x 4 7/8.
A2 Blank Cards – 4 1/4 x 5 1/2.
A6 Blank Cards – 4 1/2 x 6 1/4.
A7 Blank Cards – 5 1/8 x 7.
A7.5 Blank Cards – 5 3/8 x 7 1/4.
A9 Blank Cards – 5 1/2 x 8 1/2.
4×6 Blank Cards.

এর বাইরেও আরো কিছু অপ্রচলিত কার্ড সাইজ আছে। যেমন ট্রাই ফোল্ড কার্ড। সব কার্ডের সাথে ইনভেলপ / খাম ও আছে, কিন্তু সাইজ কিছুটা কম-বেশী। যেমন A2 সাইজ কার্ডের জন্য যে ইনভেলপ আছে তার সাইজ হলো ৪ ৩/৮ ইঞ্চি X ৫ ৩/৪ ইঞ্চি। এই পিডিএফ ফাইলটি ডাউনলোড করে নিতে পারেন, বিভিন্ন কার্ড এবং ইনভেলপ সাইজ দেয়া আছে।

আশা করি আপনার পরবর্তী কার্ড প্রজেক্টে সঠিক মাপে কার্ড এবং ইনভেলপ তৈরী করে নিবেন।

হ্যাপি ক্র্যাফটিং

ছবি : নেট থেকে নেয়া
তখ্য সূত্র : Blank Cards By Size

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *