ভিডিও এডিটিং : বাজেট পিসি

কিছুদিন ধরে ফটোগ্রাফির সাথে সাথে ভিডিও নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি। এখনও অনেক জিনিস জানা এবং বুঝা বাকি। ফটোগ্রাফি বুঝলেই যে ভিডিওগ্রাফি বুঝবেন তার কোন মানে নেই। অবশ্য কেউ যদি মোবাইল ফোনে ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি করেন তাহলে অনেক কিছুই বুঝার প্রয়োজন পরে না। তবে কোয়ালিটি একটা নির্দিষ্ট ষ্ট্যান্ডার্ডে নিতে চাইলে অনেক বিষয়ই জানতে হবে।

ভিডিও এডিট করার জন্য কোন ধরণের পিসি দরকার ? সাধারণ পিসি দিয়েও অনেক কাজ করা যায়। তবে কিছু কিছু কাজ দ্রুততার সাথে করতে চাইলে একটু ভাল মানের পিসি দরকার। কয়েকদিন ধরেই ইউটিউবে নানা ভিডিও দেখছি। বেশ কয়েকটি ভিডিও দেখার পর গোটা তিনেক পিসির কনফিগারেশন ঠিক করলাম। এর কোনটাই হাই এন্ড পিসি না, সম্পূর্ণ বাজেট পিসি। চলুন দেখা যাক

পিসি ৩ : ইন্টেল পিসি
এই পিসিটি আগের পিসির মতোই, কেবল প্রসেসর আর মাদারবোর্ড পরিবর্তন করা হয়েছে। দামও বেশ কিছুটা কমে এসেছে। চলুন দেখা যাক …

Processor : Intel Core i3 9100F ৳7,600.00 (StarTech)
Motherboard : Asrock B365M Pro4 ৳9,200.00 (StarTech)
RAM : Corsair Vengeance LPX 8GB 3200MHz DDR4 ৳3,400.00 x 2 StartTech)
GPU : Galax GeForce GTX 1650 OC 4GB GDDR6 Tk. 16,200.00 (StartTech)
SSD : Transend 420S 120 GB Tk. 2,100.00 (StarTech)
HDD : Toshiba 1TB Sata Tk. 3,600.00 (StarTech)
PSU : Corsair VS 550 550 Watt Tk. 4,400.00 (StarTech)
Casing : Antec NX110 Tk. 2,800.00 (StarTech)
Keyboard / Mouse : Gigabyte KM6150 Combo ৳৭০০.০০
Monitor : Viewsonic IPS LED VX2276-SHD 21.5″ Tk. 10,200.00 (StarTech)

সর্বমোট খরচ ৳৫৬,৮০০.০০

এই বিল্ডেও আসলে পরিবর্তন বা আপগ্রেড করার সূযোগ খূব কম। খরচ কমানোর সূযোগও খূব কম। কিবোর্ড এবং মাউস, কেসিং, মনিটর মোটামুটি সাধারণ মানের নেয়া হয়েছে। একমাত্র মাদারবোর্ড এবং জিপিইউ এ হয়তো কিছু কম-বেশী করতে পারেন।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।