ল্যাপটপ সমাচার (৩)

উইন্ডোজ ১০ যখন রিলিজ হয়, তখন মাইক্রোসফট ফ্রি ডিস্ট্রিবিউট করেছিলো বেশ কিছুদিন। আমি একটা ডেস্কটপ পিসি আর একটা ল্যাপটপে তখন ডাউনলোড করেছিলাম। সময়ের পরিক্রমায় ল্যাপটপের উইন্ডোজ নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো। পরে একটা পাইরেটেড কপি ইনষ্টল করি। ডেস্কটপ এর কপি ভালই চলছিলো। এরমধ্যে মাদারবোর্ড / প্রসেসর চেঞ্জ করেছি। বছর ২ আগে হার্ডডিস্ক চেঞ্জ করে এম.২ এসএসডি লাগালাম। ওএস ক্লোন করে নিলাম সেটায়। আবার প্রব শুরু করায় নতুন করে ইনষ্টল করার প্রয়োজন হলো।

কয়েকদিন ধরে ফেসবুকে আলি এক্সপ্রেসের কিছু এড দেখছিলাম উইন্ডোজের রিটেল কি সংক্রান্ত। দামও বেশ কম, মাত্র আড়াই ডলারের মতো। ভাবলাম, কি আছে জীবনে। লস হলে হবে। কিনেই ফেলি। পেমেন্টের মিনিট দশেক পরেই মেইলে রিটেল কি পেয়ে গেলাম।

এরপর মাইক্রোসফট থেকে নামিয়ে ফেললাম প্রয়োজনীয় ফাইল। তৈরী হয়ে গেলো বুটেবল ইউএসবি ডিস্ক। তবে শুরুতেই ঘাপলা। রিটেল কি দেয়ার পর সেটা নিলো না। সেলার’কে স্ক্রিনশট দেয়ার পর জানালো শুরুতে রিটেল কি না দিয়ে ইনষ্টল করতে।

“Click ‘i dont have product key’ and install windows 10 pro,when the windows desktop is installed, you can enter your license key from the activation section in the settings and activate it.”

ইনস্টলেশন এর এক পর্যায়ে মাইক্রোসফট একাউন্ট ডিটেইলস দেয়ার অপশন ছিলো। পাইরেটেড কপিগুলোতে সাধারনত এই অপশন থাকতো না, কেবল নাম দিতাম। ফ্রি / জেনুইন কপিতে অবশ্য একটা একাউন্ট করেছিলাম। নতুন ইনষ্টলেশনে সেটাই ব্যবহার করলাম। ইনষ্টলেশন শেষে একটিভ করতে গিয়ে দেখি সেটা একটিভ করাই আছে। মনে হচ্ছে একাউন্ট থেকেই সেটা একটিভেট করা হয়েছে।

ল্যাপটপের পাইরেটেড কপিতে রিটেল কি দিয়ে আবার একটিভেট করলাম। ঠিকমতোই একটিভেট হলো।

ট্রাই করে দেখতে পারেন। ২.৬৭ ডলার মানে ২৫০ টাকার মতো। খারাপ না।
পাদটিকা : এসএম ইব্রাহিম লাভলু জানালো মাইক্রোসফট একাউন্ট থাকলে সেখানে উইন্ডোজের লাইসেন্স কি ষ্টোর করা থাকে। পরবর্তীতে কোন কারণে রি-ইনষ্টল করার পর লগইন করলে সেখান থেকেই একটিভেট হয়ে যায়।

ফটো ক্রেডিট : Designed by Freepik

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।