স্ক্রিন কাষ্টিং

স্ক্রিন কাষ্টিং বা স্ক্রিন মিররিং হলো কোন ডিভাইসের স্ক্রিন (ডিসপ্লে’তে যা দেখা যায়) অন্য কোন ডিভাইসের ডিসপ্লে’তে দেখানো। সাধারণত দেখা যায় মোবাইল ফোনে গেমস খেলার সময় অনেকেই স্ক্রিন কাষ্টিং করে বড় টিভিতে সেটা দেখেন। এই স্ক্রিন কাষ্টিং গেমস খেলা ছাড়াও আরো নানা ভাবে ব্যবহার করা যায়।

কিছু ভিডিও তৈরী করার জন্য আমার নিজের মোবাইলের স্ক্রিন কাষ্টিং এর প্রয়োজন হলো। আমার দরকার ছিলো ডেস্কটপ পিসিতে এই কাষ্টিং করা, যাতে রেকর্ড করা যায়। যথারীতি গুগলের শরনাপন্ন হলাম। গুগল জানালো উইন্ডোজ ১০ এ অন্য কোন সফটওয়্যার ছাড়াই স্ক্রিন কাষ্টিং সম্ভব। ইউটিউবের এই ভিডিও দেখে খূবই অনুপ্রানিত হলাম। কিন্তু কোনভাবেই কোন কিছু করতে পারলাম না। শেষমেষ ঠিক করলাম ভিন্ন কোন সফটওয়্যার দিয়েই কাজটা করবো।

অনেক ঘেটে LetsView নামের এক সফটওয়্যার পেলাম যা দিয়ে এই স্ক্রিন কাষ্টিং সম্ভব। সে জন্য এন্ড্রয়েড স্মার্ট ফোনে একটা এপ ইনষ্টল করা লাগবে, সেই সাথে ডেস্কটপ পিসিতেও একই নামের ছোট একটি সফটওয়্যার। একই ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে দুটি ডিভাইস সংযুক্ত হবে। দুই এপ / সফটওয়্যার ইনষ্টল করে চালু করার পর দেখি কানেক্ট হয় না। পরে ভিন্নভাবে চেষ্টা করার পর চালু হলো। তবে এই কানেকশনের ঝামেলা প্রতিবারেই হয়। তাই খূজতে থাকলাম আরো সহজ কোন এপ বা পদ্ধতি আছে কিনা। আমার অবশ্য দরকার ছিলো ওয়্যারড কানেকশন, তাতে হয়তো ল্যাগ হতো না।

য়াই হোক খোজাখুজির পর গুগল এপ ষ্টোরে একটা ছোট এপ পেলাম যা কেবল স্মার্ট ফোনেই ইনষ্টল করতে হবে। ডেস্কটপ পিসিতে কোন সফটওয়্যার ইনষ্টলের দরকার হবে না। পিসিতে কেবল দরকার যে কোন একটি ব্রাউজার। Screen Cast (View Mobile on PC) নামের এই এপসটি ইনষ্টল করে চালু করার পর কাষ্টিং শুরু করলে সেটি একটি লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক এর এড্রেস দেখায়, যা অনেকটা এরকম 192.168.4.150:6868 দেখতে।

মোবাইল স্ক্রিনে দেখানো এড্রেসটি আমার পিসির ব্রাউজারে লিখে এন্টার করতেই সেখানে মোবাইল স্ক্রিনটি ভেসে উঠলো। এটাতেও কিছুটা ল্যাগ আছে, আপাতত এই দিয়েই কাজ চালাতে হবে।

আপনিও ট্রাই করে দেখতে পারেন।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।