২০১৯ সালের ৩১শে ডিসেম্বর চীনের উহানে এই ভাইরাসে প্রথম আক্রান্ত ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া যায়। এরপর থেকে সারা পৃথিবীতেই এটি কেবল ছড়াচ্ছে। এখন পর্যন্ত সারা পৃথিবীতে আক্রান্ত দেশের সংখ্যা ১৮১টি, আক্রান্ত হয়েছে ১০৯৯৩৮৯ জন, মৃত্যু হয়েছে ৫৮৯০১ জনের। ৮ই মার্চ প্রথম করোনা রোগী সনাক্তের পর এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭০, আরোগ্য লাভ করেছে ২৬ জন আর মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের।
শুরুতে সরকার মনে হয় একটু দ্বিধায় ছিলো করনীয় ঠিক করা নিয়ে। দেশে ফেরার পর প্রবাসীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর পর আবার হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে বিক্ষোভের মূখে। তাদের সঠিক মনিটরিং না হওয়ায় তারা অবাধে ঘুরে বেড়িয়েছেন। স্কুল-কলেজ ছুটি দিতে একটু দেরী করেছে। স্কুল-কলেজ ছুটি ঘোষনার পরই একদল পরিবার / বন্ধুবান্ধব নিয়ে ছুটি কাটাতে চলে যান। সরকারী সাধারণ ছুটি ঘোষনার রাতেই হাজার হাজার লোক ভীড় জমান রেলষ্টেশন আর বাস কাউন্টারে ঢাকা ছাড়ার জন্য। সরকার শেষ মূহুর্তে যান চলাচল বন্ধ করলেও বেশ কিছু লোক ঢাকার বাইরে চলে গেছে। বাংলাদেশ সরকার সারাদেশে স্কুল-কলেজ সহ সব সরকারী অফিসে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলেও সাধারণ জনগণ মনে হয় না এর ভয়াবহতা বুঝতে পারছে। বড় একটা অংশ ঢাকা ছেড়েছেও। এখন মোটামুটি বলা চলে স্থানীয়ভাবেই ছড়াচ্ছে এই রোগ। ভারত, মালয়েশিয়া সহ আরো কিছু দেশে দেখা যাচ্ছে মসজিদ থেকে ব্যাপকারে এই রোগ ছড়িয়েছে। সরকারের প্রচারণা সত্বেও কিছু ফতোয়াবাজ মোল্লার উসকানিতে এখনও মানুষজন দল বেঁধে মসজিদে নামাজ পড়তে যাচ্ছে। সামাজিক দূরত্বের কোন রকম তোয়াক্কা না করেই নামাজ আদায় করছেন। বিশেষ করে শুক্রবার জুমার দিনে এই চিত্র দেখা যাচ্ছে সারা দেশে। অথচ মক্কা-মদিনায় কংক্রমনের ভয়ে বেশ আগে খেকেই জামাতে নামাজ সীমিত করা হয়েছে, ওমরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। বিকাল থেকে কারফিউ জারি করা হয়েছে ভোর পর্যন্ত। চিন্তা করা হচ্ছে এবছর হজ্ব এর আয়োজন আদৌও করা হবে কিনা তা নিয়ে।
ইতালিতে করোনা সনাক্ত হওয়ার পর ৪৫তম দিনে মহামারী রূপ ধারণ করে। স্পেনে ৫০তম দিনে আর যুক্তরাষ্ট্রে ৫৫তম দিনে। বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হওয়ার ২৬তম দিন শেষ হলো গতকাল। যুক্তরাষ্ট্রে ২৩তম দিনে রোগী ছিল মাত্র ১১জনের মতো আর এখন ২ লাখেরও বেশি। সুতরাং “ভাইরাস থাকলে তো এতদিনে লক্ষণ প্রকাশ পেত”—এমন মতাদর্শে বলীয়ান মহামানবেরা সাবধান। আমাদের ৭০ জন সনাক্ত হয়েছে। তাও টেস্টের ব্যাপক ঘাটতি। এখনও সময় আছে আর একটু সতর্ক হওয়ার। নাহলে চরম মূল্য দিতে হতে পারে।
সবাই ঘরে থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
শুরুতে সরকার মনে হয় একটু দ্বিধায় ছিলো করনীয় ঠিক করা নিয়ে। দেশে ফেরার পর প্রবাসীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর পর আবার হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে বিক্ষোভের মূখে। তাদের সঠিক মনিটরিং না হওয়ায় তারা অবাধে ঘুরে বেড়িয়েছেন। স্কুল-কলেজ ছুটি দিতে একটু দেরী করেছে। স্কুল-কলেজ ছুটি ঘোষনার পরই একদল পরিবার / বন্ধুবান্ধব নিয়ে ছুটি কাটাতে চলে যান। সরকারী সাধারণ ছুটি ঘোষনার রাতেই হাজার হাজার লোক ভীড় জমান রেলষ্টেশন আর বাস কাউন্টারে ঢাকা ছাড়ার জন্য। সরকার শেষ মূহুর্তে যান চলাচল বন্ধ করলেও বেশ কিছু লোক ঢাকার বাইরে চলে গেছে। বাংলাদেশ সরকার সারাদেশে স্কুল-কলেজ সহ সব সরকারী অফিসে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলেও সাধারণ জনগণ মনে হয় না এর ভয়াবহতা বুঝতে পারছে। বড় একটা অংশ ঢাকা ছেড়েছেও। এখন মোটামুটি বলা চলে স্থানীয়ভাবেই ছড়াচ্ছে এই রোগ। ভারত, মালয়েশিয়া সহ আরো কিছু দেশে দেখা যাচ্ছে মসজিদ থেকে ব্যাপকারে এই রোগ ছড়িয়েছে। সরকারের প্রচারণা সত্বেও কিছু ফতোয়াবাজ মোল্লার উসকানিতে এখনও মানুষজন দল বেঁধে মসজিদে নামাজ পড়তে যাচ্ছে। সামাজিক দূরত্বের কোন রকম তোয়াক্কা না করেই নামাজ আদায় করছেন। বিশেষ করে শুক্রবার জুমার দিনে এই চিত্র দেখা যাচ্ছে সারা দেশে। অথচ মক্কা-মদিনায় কংক্রমনের ভয়ে বেশ আগে খেকেই জামাতে নামাজ সীমিত করা হয়েছে, ওমরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। বিকাল থেকে কারফিউ জারি করা হয়েছে ভোর পর্যন্ত। চিন্তা করা হচ্ছে এবছর হজ্ব এর আয়োজন আদৌও করা হবে কিনা তা নিয়ে।
সবাই ঘরে থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
ফেসবুক মন্তব্য