মাদ্রাসার খাবার

দারুল উলুম বালিপাড়া কওমি মাদ্রাসায় প্রতিদিন ১২০০-১৪০০ মানুষের জন্য খাবার রান্না করা হয়। এই কাজের জন্য ২ রুমের বড় একটি ঘর আছে। একটিতে রান্না হয়, অন্যটি ভাড়ার ঘর কাম শোয়ার ঘর। বাবুর্চি এবং সহকারী এখানেই থাকে। বারান্দার মতো একটি অংশে মাছ / মাংস কাটাকাটি এবং ধোয়ার কাজ করা হয়। মাসের শুরুতেই শুকনা বাজার যেমন চাল, ডাল, মশলা, তেল ইত্যাদি কিনে আনা হয়। আর দৈনিক কাঁচাবাজার যেমন মাছ, মাংস, তরিতরকারি প্রতিদিনই (ঠিকাদার) দিয়ে যায়।
ছাত্রদের জন্য রান্না চলছে
ছাত্রদের জন্য রান্না চলছে
 
সাধারণত সপ্তাহে ৪দিন মাছ বা মাংস, বাকি ৩দিন সবজির সাথে মাছ / মাংস দিয়ে একটা তরকারি দেয়া হয়। সকালে থাকে ভাত, আলু ভর্তা আর ডাল। দুপুর থাকে ভাত, মাছ / মাংস এবং ডাল। রাতে ভাত, সবজির তরকারি এবং ডাল। মাঝে মধ্যে মেনু’তে ভিন্ন কিছু থাকে। যেমন আমরা যখন গিয়েছিলাম সেসময় ২ দিনের প্রতিযোগীতা / অনুষ্ঠান ছিলো। শেষ দিনে দুপুরে ছিলো তেহারী। কমপ্লেক্সের ভিতরে একটি দোকানও আছে। ইচ্ছে করলে ছাত্ররা এখান থেকেও হালকা খাবার কিনে খেতে পারে।
 
ভাড়ার ঘর
ভাড়ার ঘর
কাটাকাটি চলছে
কাটাকাটি চলছে
ছাত্রদের জন্য রান্না চলছে
ছাত্রদের জন্য রান্না চলছে

 

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।