কথা বলে লেখা

আমার টাইপিং স্পিড খূব একটা সূবিধার না। দুই আঙ্গুলে টাইপ করি। ফেসবুকে বা ব্লগে এই দুই আঙ্গুলে টাইপ করতে খূব একটা অসুবিধা হয় না। আবার মোবাইলে তো টাইপ করি এক আঙ্গুলে। একজন কে দেখছিলাম দুই হাতে মোবাইল ধরে কেবল দুই বুড়া আঙ্গুল দিয়ে ঝড়ের গতিতে চ্যাট করতেছে।
 
তবে কথা সেটা না। নিজের মনের মাধূরী মিশিয়ে টাইপ করে লেখা আর কিছু দেখে টাইপ করা সম্পূর্ন ভিন্ন কিছু আমার কাছে। কিছু দেখে টাইপ করতে গেলে খবর হয়ে যায়। এ কারণে খূব সহজ সরল এক কাজ গত দুই বছরে শেষ করতে পারি নাই। বলছিলাম ব্যক্তিগত সংগ্রহে থাকা বই এর লিষ্ট করা নিয়ে। বেশ কয়েক বারই শুরু করেছি, কয়েক বার গুগলে ফর্ম তৈরী করেছি। তারপর ডেটা ইনপুট দিতে দিতে মনে হয়েছে ঠিকমতো হচ্ছে না। এক তো টাইপিং স্পিড কম, তারপর বানান সংশোধন এর জন্য স্পিড আর থাকে না। মানে আমার লিষ্ট আর তৈরী হয় না। লিষ্ট না থাকার বড় অসূবিধা হলো এক বই হয়তো ২য় / ৩য় বার কিনে ফেলি।
 
আজ বৃষ্টি দেখে বাইরে হাটতে যাই নাই। তার বদলে বসলাম ট্যাব নিয়ে। গুগল কিপ নোটস চমৎকার একটা এপ। ছোটখাট অনেক তথ্যই এখানে লিখে রাখি। আজ তাই এখানেই সিরিয়াল দিয়ে বই এর নাম আর লেখকের নাম লিখে রাখবো বলে ঠিক করলাম। তবে টাইপ না করে রিদমিক কিবোর্ডের স্পিচ টু টেক্সট ফিচারটা ব্যবহার করেছি। ৭৫টা বই এর নাম আর লেখকের নাম মুখে বলে এন্ট্রি করলাম। সময় লাগলো প্রায় ঘন্টা খানেক। এক লাইন থেকে এন্টার চেপে পরের লাইনে গেলেই মাইক্রোফোন অফ হয়ে যায়। তারপর ধূলো ঝারা আর সেলফে সাজিয়ে রাখার কাজও করতে হচ্ছিলো।
 
গুরুতর কোন সমস্যা হয় নাই। একবার কেবল একজনের নাম শ্রী বলার পর সেটা হয়ে গেলো স্ত্রী। মুজতবা বলার পর হলো মুস্তাফা। আর সিরিয়াল বলছিলাম ০০১, ০০২ এভাবে। ঠিকই সংখ্যায় লিখছিলো, তবে কয়েকবার ই শুণ্য শুণ্য আট এভাবে লিখেছে। দাড়ি, কমা, হাইফেন দিতে পারে না। এগুলো বললে বানান করে লিখে ফেলে। তবে সাল বললে ঠিকই সংখ্যায় লিখে।
 
আশা করি এভাবে হয়তো এসপ্তাহের মধ্যেই লিষ্ট কমপ্লিট করে ফেলতে পারবো।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।