খাদ্য তালিকা

ওজন কমানোর চেষ্টা করছি কয়েক বছর থেকেই। আব্বা-আম্মার ডায়বেটিস ছিলো। সে হিসেবে আমার হওয়ার সম্ভাবনা আছে এবং তার আলামত দেখা যাচ্ছিলো। কিছু পরীক্ষার পর ডাক্তার জানালেন আমি তখনও ডায়বেটিক না, তবে ওজন খূব বেশী। তখন ওজন ছিলো প্রায় ৯০ কেজি, যা ওবেসিটির পর্যায়ে পড়ে। আমার উচ্চতা (৫ ফুট ৬ ইঞ্চি) অনুযায়ী ওজন হওয়ার কথা ৬৮ কেজির মতো। 

অতঃএব শুরু হলো ওজন কমানোর প্রক্রিয়া। ভাত খাওয়া কমালাম, প্রতিদিন হাটাহাটি শুরু করলাম। ওজন কমতে শুরু করলো। প্রথমে দ্রুত মলেও, পরে কমার গতি বেশ শ্লথ হয়ে গেলো। তারপরও ৭৬ কেজিতে নামাতে পেরেছিলাম। কিস্তু করোনা প্যানডেমিক শুরু ওয়ার পর বাইরে হাটাহাটি কমে আসলো। আমার ওজনও বাড়তে শুরু করলো। এরপর আব্বার অসুস্থতার কারণেও বাইরে যাওয়া কমে গেলো। আব্বা মারা যাওয়ার পর ওজন মেপে পেলাম ৮৩ কেজির মতো। আবার শুরু হলো হাটাহাটি। এবার হাটাহাটির সাথে খাবার খাওয়ার ব্যাপারেও সচেতন। কারণ আমার টিজি (ট্রাই গ্লিসারাইড) বেশ বেশী। তাই ভাত খাওয়া কমিয়ে দিয়েছি। শুরুতে রাতে ভাত খাওয়া বন্ধ করলেও এখন দূপুর আর রাত দুই বেলাই ভাত বন্ধ। কেবল শুক্রবারে খিচুড়ী খাওয়া হয় নাশতায়। 

সকালের নাশতা : ২টি আটার রুটি, ভাজি, ডিম পোঁচ, চা (চিনি ছাড়া)

দূপুরের আগে : এক বাটি ফল

দূপুরের খাবার : ভাজি / ভর্তা / শাক, মাছ, ডাল

বিকালের নাশতা : সাধারণত মুড়ি / বিস্কুট (কখনও নুডলস / পাস্তা), চা (চিনি ছাড়া) 

রাতের খাবার : ২টি আটার রুটি, ভাজি / নিরামিশ,  মুরগী, ডাল এবং এক কাপ দুধ

শুক্রবারে নাশতায় থাকে খিচুড়ি আর ডিম ভাজি

মাঝে মাঝে রিচ ফুডও খাওয়া হয়, বিশেষ করে বাসায় মেহমান আসলে। সেসময় হয়তো মিষ্টিও খাওয়া হয়। গরু / খাসি ইানিং খূব একটা বাসায় আসে না। তবে কালেভদ্রে সেটাও খাওয়া হয়।

এভাবেই চলছে।

ভাল থাকুন। ওজন নিয়ন্ত্রন করুন। সুস্থ থাকুন।

Photo by Isaac Taylor

আপডেট : ডাক্তার সাহেব ইউরিক এসিড বেড়ে গেছে বলে আশংকা করছেন। টেষ্ট দিয়েছেন। সাথে একটা লিষ্টও ধরিয়ে দিয়েছেন কি কি খাওয়া যাবে না। 

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।