ফেসবুক ষ্ট্যাটাস – ০৪

খালেদা জিয়া জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে বলা হচ্ছে কেন ? বিদেশে গেলেই তিনি ভাল হয়ে যাবেন এ কথাই বা ভাবা হচ্ছে কেন ?
 
তার যেসব শারীরিক সমস্যা আছে বলে পত্রিকা গুলো রিপোর্ট করছে সেসব তো আমার আব্বা-আম্মার আছে / ছিলো। আমরা তো এই বাংলাদেশের হাসপাতাল বা ডাক্তারের উপর ভরসা করেই তাদের চিকিৎসা করিয়েছি এবং করছি।
 
এটা ঠিক যে অনেক দিন ধরে ডায়বেটিস থাকলে সেটি যে কোন সময় হঠাৎ করে বেড়ে যেতে পারে। আবার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যায় সেটি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। আমার আব্বা-আম্মারও এরকম সমস্যা হয়েছে। গত মে মাসে আম্মা মারা যাওয়ার পর আব্বা ইউরিন ইনফেকশনে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে হাসপাতালে নিতে হয়েছিলো। ডাক্তার পুরো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে বলেছিলেন আব্বার বয়স বেশী হওয়ার কারণে মেডিসিন ঠিকমতো কাজ নাও করতে পারে। আবার ইনফেকশনের মাত্রাও বেশী। এই অবস্থায় চেষ্টা করা আর কিছু করার নেই। ভাল হলে তো ভালই, না হলে সব কিছুর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আমরা মেনে নিয়েছিলাম। আব্বা ১১দিন পর বাসায় ফিরেছিলেন এবং এখনও কোনমতে টিকে আছেন।
 
খালেদা জিয়া অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে যাচ্ছেন, বাসায় ফিরে কিছুদিন পর আবার অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে যেতে হচ্ছে পত্রিকায় অনেকগুলো কারণের মধ্যে একটা কারণ বলা হচ্ছে অনিয়ন্ত্রিত ডায়বেটিস। আমার মনে হচ্ছে বাসায় তার সঠিক পরিচর্যা হচ্ছে না। হয়তো সেকারণেই তার ডায়বেটিস অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যাচ্ছে। আব্বা-আম্মা দুজনের ক্ষেত্রেই দেখেছি সুগার নানা কারণেই বাড়ে। সুগার বাড়লে বা কমলে ইনসুলিনও বাড়াতে কমাতে হতো। আবার এই সুগারের উঠা-নামার কারণে ক্রিয়েটিনিন বাড়তো-কমতো। আবার নানা ধরনের সমস্যায় (ডায়বেটিস / কিডনি / প্রেসার / হার্ট ডিজিজ) নানা ধরনের ঔষধের কারণেও সুগার / ক্রিয়েটিনিন / প্রেশার বাড়ে কমে। বয়স এখানে একটা বড় সমস্যা। তারপরও আমরা আমরা বাংলাদেশে এবং বাংলাদেশের ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা করিয়েছি এবং করাচ্ছি।
 
খালেদা জিয়ার হয়তো বাসায় পরিচর্যা ঠিকমতো হচ্ছে না। তারপর রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হওয়ায় হয়তো পূর্ণ বিশ্রামেরও অবকাশ পাচ্ছেন না। এইসব কিছু ঠিকমতো হলে হয়তো তার অবস্থা বার বার খারাপ হতো না আর বিদেশ যাওয়ার আবদারও করা লাগতো না।

ফেসবুক ষ্ট্যাটাস – নভেম্বর ১৯, ২০২১

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।