বাটি ছাট

মাঝে মধ্যে মনে হয় কিছু বিষয় আছে সার্বজনীন। মানে সারা পৃথিবীতেই হয়তো প্রচলিত। এই যেমন ধরেন চুল কাটার ব্যাপারটা। ছোটবেলায় স্কুল কিংবা বাসা কোন জায়গাতেই চুল বড় করার জন্য কোন রকম সাপোর্ট পাওয়া যেতো না। তারপর চুল ছোট করতে করতে দেখা যেতো মাথার চাদিও দেখা যেতো, বাসায় ফিরে চুল আঁচড়ানোর কোন উপায় থাকতো না। 

যাই হোক। সেদিন ফেসবুকের এক গ্রুপে দেখলাম কেউ একজন আগের দিনের পূজো’র কিছু ইলাষ্ট্রেশন দিয়েছেন। তার মধ্যে বাটি ছাটের একটা ছবিও আছে। এই হলো সেই ছবি 
ভারত না হয় পাশের দেশ, একই অঞ্চল। অনেক কিছুতেই মিল থাকতে পারে। তা আমেরিকাতেও একই ব্যাপার ঘটলে চোখ তো কপালে উঠবেই। 

কিছুদিন আগেই নেটফ্লিক্সে ষ্ট্রেঞ্জার থিংস দেখে শেষ করেছি। দারুণ লেগেছে সিরিজটি। এখন ফেসবুক / ইউটিউবে মাঝে মধ্যে সিরিজের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের খবরাখবর দেখি এবং পড়ি। হঠাৎ করেই একদিন চোখ আটকে গেলো উইল ব্রায়ার্স চরিত্রের নোয়া স্ন্যাপ এর এক সাক্ষাতকারে। পুরো সাক্ষাতকার না, খন্ডাংশ বলা চলে। সেখানেও সেই বাটি ছাট মানে আমেরিকান বোল কাট নিয়ে বেশ কথাবার্তা, হাসাহাসি হলো। তবে আমেরিকান বোল কাট কিন্তু আমাদের এখানের বাটি ছাটের চাইতে অনেক ভাল। নোয়া স্ন্যাপ’কে উপমহাদেশীয় বাটি ছাট দিতে বললে হয়তো বেচারা হার্টফেইল ই করতো। এই হলো নোয়া’র সাক্ষাতকার 

ময়মনসিংহ জিলা স্কুলে পড়ার সময় ‘লিটু’ নামের এক ছেলের এই আমেরিকান বোল কাট চুল ছিলো। তখন অবশ্য জানতাম না যে এটা আমাদের বাটি ছাটের আমেরিান সংস্করণ।

ফেসবুকের সেই পোষ্ট পাবেন এখানে
নোয়া স্ন্যাপের সম্পূর্ণ সাক্ষাতকার পাবেন এখানে

ভাল থাকুন, আনন্দে থাকুন।

 

 

 

 

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।