হ-য-ব-র-ল (৮)

‌১. ছবির গল্প : ছবির পিছনে আসলেই অনেক সময় নানা গল্প তৈরী হয়ে যায়। হয়তো কোথাও গিয়েছেন বেড়াতে, ক্যামেরা বের করে ছবি তুলছেন। হয়তো হঠাৎ ই কোন ঘটনা ঘটলো। কিংবা কেউ এসে বললো তার ছবি তুলে দিতে। পরে হয়তো দেখা যায় সেই ছবিটাই হয়তো দারুন জনপ্রিয় হয়েছে।

আমার আজকের গল্পটি অবশ্য ছবির পিছনের গল্প না। বলা চলে পরের গল্প। ইদানিং বাসায় বসেই হাবিজাবি জিনিসের ছবি তুলছি। ক্যামেরা থেকে শুরু করে খাবার-দাবার সবই। বিকালে সাধারণত এক কাপ চা খাই, সাথে এক এক দিন এক আইটেম থাকে। কোন কিছু না থাকলে ড্রাই কেক তো আছেই। এ জিনিসটা অবশ্য আমার বেশ প্রিয়। চায়ের সাথে খেতে খেতে ৫/৬টা খেয়ে ফেলেছি এমনও হয়েছে। একদিন চা খাওয়ার আগে এই ড্রাই কেকের ছবি তুললাম। সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডে নানা ভাবে সাজিয়ে, কখনও একটার উপর আরেকটা, কখনও বা পাশাপাশি রেখে। শেষে তুললাম ৩ টা বিস্কুট খাড়া ভাবে রেখে। একটার সাথে আরেকটা হেলান দিয়ে আছে। এই ছবিটাই আপলোড করলাম ফ্লিকারে।

Dry Cake

কয়েকদিন পরে দেখি একজন কমেন্ট করেছেন। Rusk with milk is my favourite Brilliant work! বুঝলাম ড্রাই কেক হয়তো তার ভাষায় rusk, পরে  অবশ্য গুগলে চেক করেছিলাম। তবে গুগল বলছিলো এটা ইংরেজী শব্দই, মানে রুটির টুকরা। উইকিপিডিয়া বলছে A rusk is a hard, dry biscuit or a twice-baked bread. It is sometimes used as a baby teething food. In some cultures, rusk is made of cake, rather than bread: this is sometimes referred to as cake rusk. In the UK, the name also refers to a wheat-based food additive.

রাতে সাধারণত খাওয়ার পর এক গ্লাস দূধ খাই। সেদিন রাতে চিন্তা করলাম … ট্রাই করলে কেমন হয়। ঠিকই টেষ্ট করলাম। ড্রাই কেকের টেষ্টই অন্যরকম লাগলো। বেশ মজার ব্যাপার। সাথে আবার দূধের সর ছিলো ছিটে-ফোটা। সেগুলোও অন্যরকম এক রসনা তৃপ্তির কারণ হলো। এখন মাঝে মধ্যেই রাতে দূধের সাথে এক-আধটা ড্রাই কেক চলে। ড্রাই কেকের মান যতো ভাল হবে, দূধের সাথে ততো টেষ্টি লাগবে।

চেষ্টা করে দেখতে পারেন। ভাল থাকুন নিরন্তর।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।