স্বপন ভাই

স্বপন ভাই যুদ্ধ করেছেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর আন্ডারে। আজ অনেকদিন পর তার সাথে দেখা। আমি একটু ক্ষোভ প্রকাশ করলাম বঙ্গবীরের ভূমিকায়। জিজ্ঞাসা করলাম উনি (বঙ্গবীর) কি অনুতপ্ত দেশের জন্য যুদ্ধ করে। স্বপন ভাই উত্তর দিলেন “আমি নিজেই তো অনুতপ্ত, হুদাই যুদ্ধ করছি”। এরপর আরো কিছু বলতে চাইলেন, পারলেন না। অস্ফুটে কিছু একটা বললেন, বোঝা গেল না … কান্না আটকানোর চেষ্টা করছেন তখন স্বপন ভাই। আমি তখন বাক্যহারা। আস্তে করে বললাম, আপনার সাথে বসতে হবে। আপনার যুদ্ধকালীন স্মৃতিগুলো মনে করার চেষ্টা করতে থাকেন। আমার সাথে শেয়ার করবেন, আমি করবো অন্যদের সাথে। মাথা নেড়ে সম্মতি জানালেন …

কথা বলে লেখা

তবে কথা সেটা না। নিজের মনের মাধূরী মিশিয়ে টাইপ করে লেখা আর কিছু দেখে টাইপ করা সম্পূর্ন ভিন্ন কিছু আমার কাছে। কিছু দেখে টাইপ করতে গেলে খবর হয়ে যায়। এ কারণে খূব সহজ সরল এক কাজ গত দুই বছরে শেষ করতে পারি নাই। বলছিলাম ব্যক্তিগত সংগ্রহে থাকা বই এর লিষ্ট করা নিয়ে। বেশ কয়েক বারই শুরু করেছি, কয়েক বার গুগলে ফর্ম তৈরী করেছি। তারপর ডেটা ইনপুট দিতে দিতে মনে হয়েছে ঠিকমতো হচ্ছে না। এক তো টাইপিং স্পিড কম, তারপর বানান সংশোধন এর জন্য স্পিড আর থাকে না। মানে আমার লিষ্ট আর তৈরী হয় না। লিষ্ট না থাকার বড় অসূবিধা হলো এক বই হয়তো ২য় / ৩য় বার কিনে ফেলি।

দেশী ওটিটি

দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে দেশী ওটিটি (OTT = Over The Top) চ্যানেল। স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলগুলিতে মাত্রারিক্ত বিজ্ঞাপন প্রচারের কারণে নাটক / সিনেমা এমনকি খবর দেখাও দিন দিন বিরক্তিকর হয়ে উঠছে। আগে হয়তো নেটফ্লিক্স / আমাজন প্রাইম ভিডিও এর মতো বিদেশী ওটিটি চ্যনেলগুলো ছিলো। এখন বেশ কিছু দেশী ওটিটি চ্যানেলও এদের সাথে পাল্লা দিচ্ছে। 

অমীমাংসিত রহস্য

এই সিরিজ দেখতে দেখতে আমার মনে হলো উন্নত দেশের শিক্ষিত মানুষদের সাথে বাংলাদেশের মানুষদের পার্থক্য খূব একটা নাই। কোন ঘটনা ঘটলে আমরা যেমন সোশাল মিডিয়ায় ব্যাপকারে নিজস্ব মতামত দিতে থাকি, সেখানেও তাই। এক একজন এক্সপার্ট অপিনিয়ন দিতে থাকে। আবার তাদের আইনও অনেক ক্ষেত্রে ভিন্ন। কেউ যদি পুলিশের তদন্তে সহযোগীতা করে না চায়, পুলিশ জোর করে কিছু করতে পারে না। ফলে তদন্তও শেষ হয় না। 

ঘোরাঘুরি (২)

কক্সবাজার এর হোটেল ভাড়া নিয়েগুগল সার্চ করলাম। ইউটিউবে ভিডিও দেখলাম। ৫০০-১০০০ টাকায় যে ডাবল রুম আছে, সেগুলো খূব একটা খারাপ মনে হলো না। একরুমে ২টা বেড, টিভি, এটাচ বাথ সবই আছে। কোন কোন রুমে ২ বেডে ৪ জন পর্যন্ত থাকা সম্ভব। সে হিসেবে ১০০০ টাকার রুমে পার হেড পার নাইট খরচ আসে ২৫০ টাকা। মন্দ না। YMCA / YWCA এর বেশ কিছু হোষ্টেল ছিলো আগে। সেগুলোর খোঁজ পেলাম না। 

অনলাইন কেনাকাটা – ০২

ওয়্যারলেস মাইক্রোফোন এর বড় সূবিধা হলো তার নিয়ে কোন হাঙ্গামা নাই। ছোট জায়গায় কাজ করতে গেলে তার নিয়ে অনেক সমস্যা হয়। হয়তো রেহর্ডিং এর মাঝে কিছু একটা নিতে হবে। তখন এই সব তার এড়িয়ে নড়াচড়া কঠিন। সাথে সাহায্য করার জন্য কেউ থাকলে ভিন্ন কথা কিন্তু যারা একা একা কাজ করেন এবং যাদের সো কলড ষ্টুডিও নিজের বেডরুমে তাদের জন্য এই তারবিহীন মাইক্রোফোন বেশ কাজের। 

ওজনামৃত

বছর তিনেক আগে ওজন কমানোর প্রচেষ্টায় হাটাহাটি শুরু করেছিলাম। সেই সাথে খাওয়া-দাওয়াও কমিয়েছিলাম, বিশেষ করে ভাত। ফলাফল আমার ওজন একসময় ৮৯ কেজি থেকে কমে ৭৫ কেজিতে নেমে আসে। আমার উচ্চতা (৫ ফুট ৬ ইঞ্চি) অনুযয়ী আমার আদর্শ ওজন হওয়া উচিত ৬৮-৭০ কেজির মতো। মানে আমি আমার আদর্শ ওজনের প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছিলাম। 

ফাইল ট্রান্সফার

মোবাইল থেকে পিসি কিংবা ভাইস ভার্সা, ফাইল ট্রান্সফার করতে গেলে মাঝে মধ্যে বেকায়দায় পড়তে হয়। সাধারণত ডেটা ক্যাবল দিয়েই কাজটা করি। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় ক্যাবল দিয়ে কিছু অংশ ট্রান্সফার হওয়ার পর কোন একটা এরর এর কারণে ট্রান্সফার বন্ধ হয়ে যায়। বেশীর ভাগ সময় এটা হয় ফল্টি ক্যাবলের কারণে। অনেক সময় ক্যাবল পাল্টানোর পরও প্রব করে। 

ষ্টক ফটো সাইট

কিছুদিন ধরে ষ্টক ফটোগ্রাফি নিয়ে জ্ঞানার্জনের চেষ্টা করছি। ২/৩টা সাইটে সাইনআপও করেছি। কিন্তু এখনও কোন কিছু আপলোড করি নাই। বুঝার চেষ্টা করছি কি ধরণের ছবি চলবে ভাল। ট্র্যাভেল / ল্যান্ডস্কেপ টাইপের ছবি আপাতত বাদ দিচ্ছি। টেবিলটপ / ষ্টিল লাইফ টাইপের ছবি আপাতত তোলার চেষ্টা করছি। সেই সাথে আগে তোলা ছবি থেকে কিছু ছবি বাছাই করছি আপলোড করার জন্য। সেই সাথে ইলাষ্ট্রেশন শেখার চেষ্টা করছি। আজকের এই পোষ্টে কেবল ষ্টক ফটো বিক্রি করা যায় এমন কিছু সাইটের লিংক থাকছে।

সঞ্চয়পত্রের মৃত্যু দাবী

আব্বা তার চাকরি জীবনের সঞ্চয় দিয়ে কিছু সঞ্চয়পত্র ক্রয় করেছিলেন। আব্বা বেঁচে থাকতেই কিছু সঞ্চয়পত্র আমার আর বোনের যৌথ নামে ট্রান্সফার করে দিয়েছিলেন। মূলত এই সঞ্চয়পত্রের মুনাফা দিয়েই আব্বার চিকিৎসা এবং আনুসঙ্গিক খরচ চালানো হতো। সেই সাথে আমার হাতখরচ।  বাকিগুলোর নমিনি ছিলো আমার ভাই আর বোন।

বই মেলা – বই কেনা

এবারের বই মেলা থেকে বই কেনার খূব একটা ইচ্ছা ছিলো না। কারণ বহুবিধ। প্রথম বাসায় বেশ কিছু বই আছে যেগুলো এখনও পড়ার সূযোগ হয় নাই। তারপর প্রায় প্রতি সপ্তাহেই গোটা তিনেক বই আনি বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমান লাইব্রেরী থেকে। তারপর বাসায় বুকসেলফের অভাব। এখন বই রাখতে হচ্ছে এখানে-ওখানে ষ্ট্যাক করে। তাই মনে মনে চিন্তা করছিলাম বই আর কিনবো না, ঘুরে ফিরে দেখে আসবো। যদিও মনে মনে একটা ছোট লিষ্ট বানিয়ে ছিলাম ফেসবুক / ব্লগে পরিচিতজনদের বই নিয়ে। প্রথমবার গিয়েই সেই লিষ্টের কিছু বই কিনেছি। আবার মেলার শেষদিন গিয়ে আরো কয়েকটা কিনে এনেছি।

হন্টন (৪)

লা মেরিডিয়ান থেকে প্রায় পুরোটা রাস্তায় ফুটপাত ছিলো। ব্যাতিক্রম হলো ফ্রাইওভারের ramp এর অংশগুলিতে। এসব অংশে ফুটপাত ছিলো না। Ramp আড়াআড়ি ভাবে হওয়াও ঝুকিপূর্ণ, কারণ গাড়ি আসতেছে। তবে দূপুর বলে গাড়ীর চাপ কম। মোটামুটি নিরাপদেই পার হতে পেরেছিলাম। একসময় দেখি বনানীর কাছে চলে এসেছি। অতঃপর বনানী কাকলী ওভারব্রীজ দিয়ে ওপারে গেলাম।